তোমাকে সীমান্তের কুলবৃক্ষ ভেবে কাটাতারের প্রাচীর পেরিয়ে
চলে এসেছিল কতিপয় ক্ষুধার্ত প্যাঁচা
ওরা তোমার কুলছিড়ে খেয়েছে,তোমার ডাল ভেঙ্গেছে
তার পর যেতে যেতে তোমার শিকড়ে ঠোকর দিয়ে গেছে।
তুমি তখন চিৎকার করেছ,কোন পাখি সেই চিৎকারে তোমার পাশে দাড়ায়নি
প্যাঁচাদের ঠোকর যখন তোমাকে ক্ষতবিক্ষত করছিল
যখন একটু একটু করে তোমার ডাল ভেঙ্গেছিল
তোমার কেবলই মনে হচ্ছিল পৃথিবীতে আর কোন পাখি নেই,সব বুঝি প্যাঁচা
যারা কেবল কুলবৃক্ষভেবে তোমাকে দলিত করেছে।
তারপর একটু একটু করে তুমি নিস্তেজ হয়ে গেলে, তোমাকে দাহ করা হলো
প্যাঁচারা তখন অন্যকোন কুলবৃক্ষ খোঁজায় ব্যস্ত
তুমি বুঝে গেলে এভাবেই তোমাদের জন্মহয় প্যাঁচাদের ঠোকর খাওয়ার জন্য
আবার যদি জন্মাতে পারতে হয়তো তুমি রুখে দাড়াতে
কেটে ফেলতে প্যাঁচাদের ঠোট,নখ এবং তার থেকেও ধারালো যা কিছু।
কিন্তু তুমিতো সীমান্তের কুলবৃক্ষ নও,
তুমিতো বাগানের সব থেকে সুরভী ছড়ানো হাসনা হেনা,বেলী কিংবা গন্ধরাজ
তোমার কোমলতায় হেসে ওঠে আকাশের চাঁদ,নদীতে জোয়ার আসে
তুমি নিজে সেটা জানতে
তবুও তোমাকে ওরা সীমান্তের কুলবৃক্ষ ভেবে দলিত করে
ওরাতো অন্য কিছু নয়,ওরাতো প্যাঁচা।
——
#জাজাফী
২১ মে ২০১৭