১.
ঐ যে দূরে ছোট্ট নদীটি যার নাম অমরাবতী
ওখানে কখনো সেতু হবে না
সব নদীতে সেতু হলে কোথায় বৈঠা বাইবে মাঝি?
২.
কী বিচিত্র জীবন তোমার
কখনো কাকের মত না জেনে নিজের মনে করে
আজীবন অন্য কারো ডিমে তা দিয়ে গেলে।
কখনো মালির মত
হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে গোলাপ ফুটিয়ে
অন্য কারো হাতে তুলে দিলে সৌরভ নিতে!
চোখের সামনে কত চায়ের কাপে ধোয়া ওঠা থেমে গেল
কারো ঠোটের স্পর্শ ছাড়াই।
৩.
হাতের কাছে থাকা মোমবাতি জ্বেলে অনায়াসেই অন্ধকার তাড়ানো যেতো
তবুও সে কত রাত অন্ধকারে জানালা খুলে কাটিয়ে দিল
চাঁদের জোছনার অপেক্ষায়।
৪.
আকাশচুম্বী অট্টালিকা বুকে রাজধানী উপাধি নিয়ে
আমার সামনে এক ব্যর্থ শহর দাঁড়িয়ে
মরিচিকা জেনেও আমরা ছুটছি এই শহরের টানে।
হে দাম্ভিক শহর!
কী নিয়ে গর্ব করো তুমি?
রাজধানী হয়েছ বলে তোমার গর্ব করার কিছু নেই
আমি দেখেছি তোমার বুকে আকাশচুম্বী অট্টালিকা থাকা সত্ত্বেও
বেওয়ারিশ কুকুরের মত অসংখ্য মানুষ রাস্তায় ঘুমায়।
তোমার ঘরে থরে থরে সাজানো রঙ্গীন কাপড় থাকা সত্ত্বেও
খালি গায়ে ঘোরে নাম না জানা কত মানব সন্তান
হে ব্যর্থ শহর! তবে কোন মুখে গর্ব করো তুমি?
৫.
যদি ভোর রাতে জেগে উঠে দেখো
কুয়াশার চাদর ছিড়ে মৃদু পায়ে কেউ এসে দাড়ায়
৬.
তুমি এখন আর নেই
কোথাও দূর পাহাড়ের দেশে হারিয়ে গেছ
তুমি না থাকলেও মনে করার মত অনেক স্মৃতি দিয়ে গেছ
সেই সব স্মৃতিগুলোর জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।
৭.
এক সমুদ্র জল নিয়ে বসে আছি আগুন নেভাবো বলে
কোথাও কি আগুন লাগেনি কারো মনে?
কী করে লাগবে আগুন দিয়াশলাইয়ের কাঠিতো এখানে
দিয়াশলাই ছাড়া কি আর সহজে আগুন জ্বলে?
৮.
তোমাকে ওরা খুঁজতে এসে শুণ্য হাতে ফিরে গেছে
তন্নতন্ন করে খুঁজেও তোমাকে পায়নি
হায়! ওরা যদি একবার আমার হৃদয়ে খোঁজ নিতো
তোমাকে পেতো।
৯.
হে ভূমিহীন কৃষক!
তোমার চোখের সামনে এতো বৃষ্টি নামলো
অথচ একফোঁটা জল জমিন স্পর্শ করলো না কখনো
কোথায় তোমার সেই খাস জমি?
কোথায় তোমার সেই ফসলের মাঠ?
যেখানে দুফোঁটা বৃষ্টির জল ফসল ফলিয়ে দেবে।
আর কতকাল ভূমিহীন কৃষক হয়ে থাকবে তুমি?
তোমার আকাশে শরতের মেঘ জমতে আরতো বেশি দেরি নেই!
১০.
আকাশ জুড়ে তারার মেলা বসুক,জোছনায় মাখামাখি চাঁদ
ওদিকে তাকালে কি মিটবে কখনো তোমাকে দেখার সাঁধ।
১১.
ঘরের আলো নিভিয়ে লাভ কী
অন্ধকারে এ দুটি হাত কারে ছোঁবে?
১২.
হে প্রত্নত্ত্ববিদ!
তেত্রিশ বছর অনুসন্ধান করেও
খনন করার মত পুরার্কীতির সন্ধান পাওনি
তবুও কোন আশা বুকে নিয়ে আজও তুমি অনুসন্ধান করে চলেছ?
১৩.
ধরিনি কখনো তারে,ছুঁয়েও দেখিনি কভু
শুধু একবার তাকিয়েছি তারপর তাকাইনি আর
এতেই নাকি উপক্রম মা হবার।
১৪.
ডিম আমার খুবই প্রিয়
আমার ভালো লাগে ডাবল ডিমের চপ
ডিম ভর্তাও পছন্দ করি আমি
কখনো কখনো দুটো ডিম অমলেট করতে ইচ্ছে করে
মুরগীর ডিমে হবে না, এতো ছোট যে কুসুমটাও দেখা যায় না
আমি বরং রাজহাঁসের ডিম চাই
দুটো বড় উটপাখির ডিম হলেও চলবে
এতো বড় ডিম যে দুই হাতে ধরে রাখা যাবে না
অনেক যত্নে খোলসবন্দী কুসুম বের করে আনবো
ভেতরটা কেমন সাদা আর হলুদে ভরপুর।
১৫.
কত র্তীথের কাক চাতকের মত চেয়ে থাকে
দেখা মেলেনা তার
কারো বা অভাব নেই
বিপরীতে কারো না পাওয়ার হাহাকার।
১৬.
মাঠের পর মাঠ সূর্যমুখী ফুটে আছে
তবুও কিছু মৌমাছি সারা জীবন কাঁটিয়ে দেয় ফুলের সন্ধানে
তার বসার মত একটি সূর্যমুখীও খালি নেই,বেদখল হয়ে গেছে
সুতরাং অন্যদের মত রোজ সন্ধ্যায় চাকে ফেরার তাড়া থাকে না তার।
একটি ফুলের দেখা পাবার অপূরণীয় আশা বুকে নিয়ে
তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে সে দিগন্তের শেষ সীমানা ছোঁয়।
পৃথিবীতে একই ভাবে বহু ফুল ফোঁটে, আপন সৌরভ ছড়ায়
কিন্তু সেই সৌরভ পৌঁছেনা কোনো মৌমাছির কাছে
কিছু কিছু ফুলের মধুও শুকিয়ে যায় মৌমাছির অপেক্ষায়।
১৭.
ভালোবাসার বিনিময়ে এক টুকরো জমি কিনবো
যেখানে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নিচে নামতেই
ঝাউবন ঘেরা উপত্যকার দেখা মিলবে
পাহাড় আর উপত্যকার মাঝে থাকবে ছোট্ট একটি পুকুর
জলহীন পুকুরের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবো।
১৮.
ঐ যে দূরে দুটো পর্বতশৃঙ্গ কেওকেরাডাং আর তাজিংডং
সুযোগ পেলে এক শীতে আমি দুটোই জয় করতে চাই
পাহাড় জয় করে হাকালুকি হাওড়ে নেমে সাঁতার কাটবো
চলন বিল যখন ডাকবে সেখানেও চলে যাবো।
১৯.
ডিমে তা দিতে দিতে ঘুমিয়ে থাকা পাখিটিও
মাঝে মাঝে জেগে ওঠে
কিছুক্ষণ জেগে থেকে আবার ঘুমায়।
২০.
ভালোবাসার উষ্ণতায় মোমের মত হৃদয় আমার গলে গেলে
সে দোষ একা আমার নয়।
২১.
একটি মাছ একুরিয়ামের বাইরে পানির অভাবে
ছটফট করতে করতে
মুখে ফেনা তুলে চোখের সামনে নিস্তেজ হয়ে গেল।
২২.
মোমের মত নরম হৃদয়ের কাছে এসে
কেন ভালোবাসার উষ্ণতা ছড়ালে
তোমার ভালোবাসার উষ্ণতায় গলিয়ে দিলে হৃদয় আমার
তোমার স্পর্শ পেলে সুপ্ত আগ্নেয়গিরিও লাভা ছড়াবে।
২৩.
দূর আকাশের আলোকিত চাঁদ
আমাকে অন্ধকারে রেখে
তুমি কার ঘর আলোকিত করবে বলে অপেক্ষায় আছো?
২৪.
দূর আকাশের আলোকিত চাঁদ
তোমাকে ছোঁয়ার সাধ্য আমার নেই
যখন খুশি তুমিতো এসে আমায় ছুঁয়ে দিতে পারো
আমিতো তোমার কাছে অধরা নই।
ইচ্ছে হলেই আমার এই অন্ধকার ঘর মুহুর্ত নিমিষেই
তোমার একরাশ জোছনায় আলোকিত করে দিতে পারো।
দূর আকাশের আলোকিত চাঁদ
আমাকে অন্ধকারে রেখে
তুমি কার ঘর আলোকিত করবে বলে অপেক্ষায় আছো?
২৫.
হৃদয়টা ভেঙ্গে দিতে পারো,ভেঙ্গে দিতে পারো আয়না
ভালোবাসা কী করে ভাংবে বলো?
ভালোবাসা ভাঙা যায় না।
২৬.
বৃষ্টিতে ভিজে যাবো ভেবে কারো কাছে ছাতা চাই না
তার চেয়ে বরং এমন কাউকে চাই
যে আমার সাথে বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হবে।
২৭.
সূর্যের পিছু নিয়েছি, আমাকেতো জ্বলতেই হবে
কয়লাকে পুড়ে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই
তার জন্মই হয়েছে অন্যের দেওয়া আগুনে পুড়ে ছাই হবে বলে।
২৮.
তোমাকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকা গ্রহগুলোর মাঝে আমিও ছিলাম
তারপর একদিন প্লুটোর মত না জানি কোন অপরাধে গ্রহত্ব হারালাম
প্লুটো এখন আর সৌরজগতের কেউ নয়,আমিও নই
সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকা প্লুটো জানে গ্রহত্ব হারানোর বেদনা।
২৯.
মাত্র পাঁচ মিনিটের স্বাধীনতা নিয়ে জন্মেছিলাম আমি
সেই সময়ে আমার কোনো নাম ছিলো না
তবুও আমি ভালোবাসা পেয়েছি
আমার পরনে কোনো কাপড় ছিলো না
তবুও আমি নিষ্পাপ ছিলাম।
কোথাও যাবার তাড়া ছিলো না আমার
ইচ্ছে হলেই হেসেছি আবার কেঁদেছি।
সেই সময়ে আমার কান্নার শব্দ অনেকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে
মাত্র পাঁচ মিনিটের স্বাধীনতা নিয়ে জন্মেছিলাম আমি।
পাঁচমিনিট পেরিয়ে যাবার পর আমি পরাধীন হয়ে গেলাম
ওরা নিজেদের মত করে আমার নাম ঠিক করে দিল
আমার মতামত ছাড়াই ওরা আমাকে
শেখ,মোল্লা,পাল,সেন কিংবা চট্টোপাধ্যয় উপাধী ধিল।
পরাধীনতার সেই শিঁকল আর কোনোদিন ছিঁড়তে পারিনি আমি
আজও তাই প্রতিনিয়ত সেই সব বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছি
যা আমি নিজ থেকে পছন্দ করিনি
ওরাই আমার উপর চাপিয়ে দিয়েছে।
মাত্র পাঁচ মিনিটের স্বাধীনতা নিয়ে জন্মেছিলাম আমি।
একদিন আবার আমি স্বাধীন হবো
সেদিনও আমার কোনো নাম থাকবে না,পদবী থাকবে না
স্বাধীনতা দিয়ে ওরা আমায় অচেনা জগতে পাঠিয়ে দেবে
যেখানে আমার পূর্বসুরীরা অপেক্ষা করছে।
৩০.
এতো অভিমান কী করে ভাঙাই প্রিয়তম ফুল
ভুলতো করোনি তুমি
যা কিছু হয়েছে আমার তা ভুল।
৩১.
মায়াবী আলো জ্বেলে ডেকেছ আমায়
ছুটেছি তোমার পিছে
গিয়ে দেখি মরিচিকা তুমি,যা দেখেছি সবটুকু মিছে।
৩২.
ফুল হয়ে সৌরভ ছড়াও, চাঁদ হয়ে ছড়িয়ে দাও আলো
তাইতো তোমাকে আমি এতো বাসি ভালো।
৩৩.
আমার হৃদয় খুন করে আজও নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়ায় খুনী
তবুও তার জেল হয় না,ফাঁসী হয় না
তাকে আরও বহুবার খুনের সুযোগ করে দেওয়া হয়।
তার হৃদয় হরণ করা খুনী চোখের আগুনে
কত প্রেমিক হৃদয় অঙ্গার হয়েছে
তবুও সে অপরাধী নয়! সে প্রেমিকা
যার প্রেমের অনলে পুড়ে গেছে তেত্রিশ কোটি প্রেমিক হৃদয়
চুরি করে নিয়ে গেছে সবগুলো মন।
৩৪.
তুমি ফুল হলেও অন্তত ছুঁয়ে দেখা যেত
সুবাশ নেওয়া যেত
তুমি হয়েছ আকাশের চাঁদ, যাকে ছোঁয়া যায় না
দূর থেকে তাকিয়ে মুগ্ধ হতে হয়
জোছনায় মাখামাখি হতে হয়।
৩৫.
পৃথিবীর তিনভাগ জলে ডুবিনি আমি
ডুবেছি তোমার প্রেমে।
৩৬.
সুদক্ষ নাবিক সে
আটলান্টিক পাড়ি দিতে গিয়েও ডুবেনি কখনো
ডুবেছে তোমার প্রেমে।
৩৭.
তুমি ছাড়া যখন কথা বলার মত দ্বিতীয় কাউকে পেলাম না
তখন আমি নিরুপায় হয়ে নিজেই নিজের সাথে কথা বলি
আজও তোমাকে কেন্দ্র করে
এক কাল্পনিক ভারসাম্যে আমার সবকিছু ঘুরপাক খায়
কবিতার ছন্দগুলো আজ প্রকম্পিত বিস্ফোরণে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে
তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা।
৩৮.
যদিও আমার তুমি ঘৃণা করো তবু আমি খুশি
তোমার অজান্তেই তোমার মনে আমার আমিকে পুষি।
৩৯.
ঝরে পড়া ফুল
তোমার হাতের স্পর্শে মালা হয়ে শুকিয়ে যায় কারো অপেক্ষায়
তবুও তুমি রোজই মালা গাথো
সে আর আসে না।
৪০.
বয়ে চলা নদীর মত অজস্র জনপদ ঘুরে
আমিও ফিরে যেতে চাই তোমার পানে।
৪১.
কার জন্য তুমি আকাশের তারা হয়ে জ্বলো?
আমিতো এখানে,নেমে এসো মাটির পৃথিবীতে।
৪২.
আকাশের তারা হয়ে কতকাল জ্বলবে?
এরচেয়ে খসে পড়ো
নেমে এসো মাটির পৃথিবীতে।
৪৩.
ভালোবাসার কাঙ্গাল এক ভিখারী তোমার দুয়ারে দাঁড়িয়ে
তাড়িয়ে দিওনা তারে
যাবার সময় হলে চলে যাবে,ফেরানো যাবে না আর।
৪৪.
আজও পর্বতারোহীর অপেক্ষায় সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে
মাউন্ট মেনোলিস আর মাউন্ট এরদুভাস
একদিন পর্বতারোহী এসে অজেয় থাকা পাহাড় জয় করে
ধীরে ধীরে নেমে আসবে পাহাড়ের পাদদেশে
যেখানে ঝাউবনে ঘেরা ছোট্ট শান্ত দিঘিতে সাঁতার কেটে
সমস্ত অবসাদ দূর করবে।
এ এমন পাহাড় যার চূড়া স্পর্শ করেনি কোনো পবর্তারোহী
এ এমন দিঘি, যে দিঘির জল স্পর্শ করেনি পৃথিবীর আর কোনো সাতারু
কী করে পারবে বলো সূর্যের আলোই কখনো পৌঁছাতে পারেনি সেখানে।
৪৫.
কোথাও হারিয়ে যেতে চাই
দিগন্তের ওপারে জোছনায় মাখামাখি সড়ক ধরে
অজানায়।
৪৬.
এক কোটি বছর আগে যাত্রা করে কিছু আলো
মাত্র সেদিন তোমাকে ছুঁয়ে গেল
আমার সাধ্য কী এক জীবনে তোমাকে ছোঁয়ার।
৪৭.
আমি অপেক্ষায় থাকি সেই সূর্যের
যা আজও উদিত হয়নি আমার আকাশে
হ্যালির ধুমকেতুর মত কোনো একদিন হয়তো সে উদিত হবে।
৪৮.
একটি ফুল বিছানায় ফুটবে আমার জন্য
কেবল তারই অপেক্ষায় আমি।
৪৯.
নাম না জানা সুগন্ধী ফুল
তোমার সৌরভে মুগ্ধ হয়ে পাপড়ী গুলোয় হাত বুলাতে বুলাতে
পৃথিবীর সব কিছু ভুলে যেতে চাই।
৫০.
বছর ঘুরে তবু ঈদের চাঁদ এলো
প্রিয় কেউ তবু এলো না
ভালোবাসাটুকু জমা রয়ে গেল
এবারও তা কেউ পেলো না।
৫১.
কুরবানি হয়ে যাক হৃদয়ের পশু
মিটে যাক অহমিকা,অভিমান,ক্রোধ
হৃদয়টা ভরে থাক ভালোবাসা মমতায়
ধুলোয় মিশে যাক অহমিক বোধ।
৫২.
আমাকে সুগন্ধী বিলাবে বলে যদি ফুটেছিলে গোলাপ
ঝরে গেলে কেন?
তবে কি ধরে নেবো আমার জন্য নয়
তুমি ফুটেছিলে ঝরে যাবার জন্য।
চাঁদকে জায়গা করে দিতে যেমন সূর্যকে ডুবে যেতেই হয়।
৫৩.
তুমিতো গোলাপ নও
তবুও তোমায় ছুঁতে গিয়ে
কন্টকযুক্ত শাখা প্রশাখায় ক্ষতবিক্ষত হই
তোমাকে আর ছোঁয়া হয় না।
৫৪.
দোহাই তোমার একবার চোখ খোলো
দেখো আঁধার নামিবার আগে।
৫৫.
তোমার ভূবনজোড়া হাসি ভালোবাসি
দিঘল কালো চুলে রাখি হাত
তোমার চাঁদ মুখ দেখে কেটে যায় রাত।
৫৬.
একটা পুরো আকাশ আমার নক্ষত্রহীন
চাঁদ হয়ে সে আকাশে কেউ আলো ছড়ায়নি কোনো দিন।
একবার ধুমকেতুর মত এসেছিল কেউ
চোখ তুলে তাকাবার আগেই চলে গেছে সেও।
তারপর কত বিনিদ্র রজনী কেটে গেছে একা
তবু কোনো অপ্সরা আফ্রোদিতির পাইনিকো দেখা।
৫৭.
পদ্মা সেতু পদ্মা সেতু তোমার কাছে শুধাই
মানুষ কেন তোমার উপর ছবি তুলছে হুদাই।
ছবিতেকি তোমায় ওরা ধরতে পারে কভু?
তাও কেন যে ওরা সবাই ছবি তুলছে তবু।
৫৮.
এতো সহজে কী করে তাকে ছেড়ে দেই বলো
কৈশোরে যার ঠোটে ঠোট রেখে চুমু খেয়েছি
ভালোবেসে নিঃশ্বাসের সাথে মিশে গেছে সে
তাকে কি এতো সহজে ছাড়া যায়?
৫৯.
প্লেগ আক্রান্ত মৃতদেহকে যেমন অবহেলায় ছুঁড়ে ফেলা হয়
কেউ কেউ তার চেয়েও অবহেলায় পাশকাটিয়ে চলে যায়।
যদি সুখ আর দুঃখ দুটোর স্বাদই নিতে চাও একসাথে
তবে কাউকে ভালোবেসে দেখো।
ভালোবাসা কাউকে খালিহাতে ফেরায় না
তার আছে অগনিত সুখ আর দুঃখের নদী
হাসি কান্নায় জীবন ভরিয়ে দেবে।
৬০.
ভুল করে বসন্ত ভেবে
বর্ষায় ডেকে ওঠা কোকিলের মত দুঃখী আর কেউ নেই।
৬১.
ভেবো না সুখ আর কোনোদিন আসবে না
সময় হলেই আবার বসন্ত আসবে
কষ্টগুলো ঝরা পাতার মত ঝরে যাবে
তখন আকাশ জুড়ে তারার মেলা বসবে
বাগানে ফুটে থাকবে সুগন্ধী গোলাপ।
৬২.
হে আকাশেল চাঁদ!
তোমার দিকে তাকাবার সময় কোথায়?
অপেক্ষা করো অথবা ডুবে যাও
পৃথিবীর জমিনে থাকা সাড়ে চারশো কোটি চাঁদের আলো
এখনো দেখা হয়নি
সেখানে তোমাকে দেখার সময় কোথায়?
৬৩.
পৃথিবীর সাড়ে চারশো কোটি চাঁদ ফেলে তোমরা যারা
আকাশের একমাত্র চাঁদের দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হও
তোমাদের দেখে আমি অবাক হই।
উপরের সবগুলো জুলাই -২০২২ মাসে লেখা।