ভোর হতে তখনো বেশ দেরি।চারদিকে শুনশান নিরব। মিসেস রাবেয়া ছোটাছুটির শব্দ শুনে বিছানা ছেড়ে উঠে পড়লেন।বাইরে দুবার বাশির শব্দ শুনেছিলেন। যে শব্দটা রোজই শোনেন। নাইটগার্ড পাহারা দেয় বাইরে।নিজের সাহস ধরে রাখার জন্য সে হুইসেল বাজায়। কিন্তু মিসেস রাবেয়া ধঢ়ফড়িয়ে বিছানা থেকে নেমে পড়লেন অন্য একটা শব্দ শুনে। শব্দটা আসছে তার ছেলে মাহিনের ঘর থেকে।
মাহিন ক্যাডেট কলেজে পড়ে। সকালেই সে ভ্যাকেশানে বাড়িতে এসেছে। মিসেস রাবেয়া ছেলের রুমের দরজায় নক করলেন।ভিতরের ছোটাছুটি যেন আরো বেশি বেড়ে গেল।মিসেস রাবেয়া বিচলিত হয়ে পড়লেন। তিনি মাহিনের নাম ধরে ডেকে বললেন কি হয়েছে মাহিন।
ছুটোছুটির শব্দটা থেমে গেল। বিমর্ষ মুখে দরজা খুললো মাহিন। তার পর বিছানায় গিয়ে বসলো। মিসেস রাবেয়া ছেলের পাশে বসে আদর করে জানতে চাইলেন ছোটাছুটির শব্দ শুনলাম কেন?
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মাহিন বললো বাশির শব্দ শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেল। ভাবলাম ফলইন করতে হবে এখনি। তাই ছুটোছুটি করে পিটি সু খুজছিলাম। দরজায় নক করতেই মনে হলো হাউজ বেয়ারা বোধহয় নক করছে তাই ছুটোছুটি আরো বাড়লো। এর পর তুমি নাম ধরে ডাকার পর মনে পড়লো আমিতো ভ্যাকেশানে বাসায় এসেছি।
ছেলের ঘুমের কথা চিন্তা করে পরদিন থেকে নাইটগার্ডকে ওই সময়ে বাশি বাজাতে নিষেধ করলেন মিসেস রাবেয়া।
=============================
জাজাফী