আমরা যখন বাসার ছাদে টবে লাগানো
বনসাইটাও টিকমত চিনে উঠতে পারিনি
তুমি তখন যান্ত্রিক এই নগরীর অলিতে গলিতে দেয়ালের ফাঁকে ফাঁকে
জন্ম নেওয়া প্রতিটি বৃক্ষ তরুলতাকে চিনেছ,
সেগুলোকে মানব সন্তানের মত একএকটি নামে তুমি ডাকতে।
শিমুলিয়া গ্রামের আকাশ আজ মেঘে ঢাকা
সেই শোকাচ্ছন্ন মেঘ সারা বাংলার আকাশটাকেই ঢেকে ফেলেছে
লজ্জাবতী লতারা যেমন হাতের ছোয়ায় নতজানু হয়
ঠিক তেমনি তোমার চলে যাওয়ার বেদনা সইতে না পেরে
তোমার ভালবাসার সন্তানেরা কান্নারত।
একদিন থাকবোনা এই অমোঘ সত্যটা উপলব্ধি করে
এ শহরের অলিতে গলিতে,এ দেশের আনাচে কানাচে
তুমি নিজ হাতে লাগিয়েছ অগণিত বৃক্ষ
যেন তারা তোমার অবর্তমানেও আমাদের জন্য বিশুদ্ধ বাতাস দেয়
অক্সিজেন দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রাখে।
প্রকৃতি প্রেমী,যে ভালবাসা ওরা তোমার থেকে পেয়েছে
তুমি চলে যাওয়ার পর সেই শুন্যতা যদি ওদের গ্রাস করে নেয়
বন খেকোরা যদি আবার ধারাল দাত বসিয়ে দিতে উদ্ধত হয়
তুমি আবার ফিরে এসো,জন্ম নিও আমারই মাঝে নব নব রুপে
তুমি ছাড়া এই বাংলার অগণিত বৃক্ষ লতা গুল্ম
আজীবনের মত নির্বাক হয়ে যাবে,কথা বলার ভাষাটুকুও যে তোমার কাছেই ছিল।
———-
#জাজাফী
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
উৎসর্গঃ প্রয়াত শ্রদ্ধাভাজন দ্বিজেন শর্মাকে। আজ ভোরে তিনি না ফেরার দেশে চলে গেলেন।