জাকির বেশ ভাল মাবের্ল খেলতে পারতো।শুনেছি জাকির এখন বাইরে থাকে।ও যখনি খেলতে চাইতো আমরা তখন চুপসে যেতাম।কারণ ওর হাতের টিপ বা নিশানা চমৎকার।একবার বেশ মনে পড়ে আমি বাবার এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম।কথা ছিল বিকেলের আগেই আবার বাড়িতে ফিরে আসবো কিন্তু বাবার বন্ধুর একটা ছেলে ছিল আমার চেয়ে একটু কম বয়সী সে কোন ভাবেই আমাকে আসতে দেবেনা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।তাই সে আমার জামা জুতো সব লুকিয়ে রেখেছিল।কিন্তু আমার মনের মধ্যে মাবের্ল খেলার যে নেশা জন্মেছিল তার টান আমি উপেক্ষা করতে পারিনি তাই স্যান্ডোগেঞ্জি গায়ে হাফ প্যান্ট পরেই চলে আসি গ্রামে।এরকম একটা পরিবেশ থেকে কোন দিন ক্যাডেট কলেজের সবুজ চত্ত্বরে পা রাখবো সেটা আমি যেমন ভাবিনি তেমনি স্বপ্নও দেখিনি। স্বপ্নটা তৈরি হয় হঠাৎ করে।স্বপ্নরা এমনই হয়। হঠাৎ জন্মনিয়ে তরতর করে ডালপালা গজিয়ে ফেলে।এক সময় দেখা যায় সেই স্বপ্নটাই মহীরুহ হয়ে উঠেছে।ওয়াসফিয়া নাজরিন কিংবা মুসা ইব্রাহীমও একদিন কি জানতো যে তারা পৃথিবীর সবোর্চ্চ বিন্দুতে পা রাখবে আর লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে আসবে?তাদের স্বপ্নটাও ধীরে ধীরে বাস্তবে রুপান্তরিত হয়েছে।যে গ্রামের মানুষের অধিকাংশই মফস্বল শহরে যাওয়ার মত ভাগ্য নিয়েই জন্মেনি তাদের কারো কারো সন্তান ক্যাডেট কলেজে পড়বে এটা কল্পনাতীত।কিন্তু মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়।তাই স্বপ্ন দেখলে হয়তো চেষ্টাতে সেই সব স্বপ্ন সত্যিও হয়।সব স্বপ্নতো আর অলীক নয়।
বাবার বদলী হওয়া এবং কোয়াটার পাওয়া আমার জন্য শাপেবর হলো।যে আমি মাবের্ল খেলাকে জীবনের সব থেকে আনন্দের এবং সব থেকে সেরা বলে জেনে এসেছি সেই আমার মধ্যে তৈরি হতে লাগলো নতুন নতুন স্বপ্ন। সে স্বপ্ন ক্রমে ক্রমে তার শাখা প্রশাখা বাড়িয়ে দিতে লাগলো।…….. লেখা চলছে