ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়ার পর অনেকেই বছরের পর বছর পার করেও খুব বশি পরিচিতি পায়না কিন্তু আমাদের ক্যাডেট জাহিদ ভর্তির কয়েক মাসের মধ্যেই গোটা কলেজে পরিচিত হয়ে গেল।বাছাই করে দেশ সেরা পঞ্চাশজনকে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার পর কিছুটা সময় লাগে ক্যাডেট হয়ে উঠতে।সিনিয়রদের নাম মুখস্ত করতে করতেই কেটে যায় কত প্রহর সেখানে নিজেকে চেনানোর সুযোগ কতইবা আসে।কিন্তু হাবাগোবা টাইপের হওয়ার পরও ক্যাডেট জাহিদ পরিচিত হয়ে গেল গোটা কলেজের সব ক্যাডেট এমনকি টিচার এবং স্টাফদের কাছেও।
এক দিনের ঘটনা, বিজ্ঞান স্যার ক্লাস নিচ্ছেন।তিনি আলোর গতি প্রকৃতি ও ধরণ নিয়ে পড়াচ্ছিলেন।এক পযার্য়ে বললেন ক্যাডেট জাহিদ বলোতো সুযর্থেকে যে আলো আসে তা কোন ধরনের রশ্মি? আমাদের ক্যাডেট জাহিদ উঠে দাড়িয়ে সশব্দে বললো স্যার ওটা অবহেলিত রশ্মি।ওর কথা শুনে ক্লাসের বাকি ক্যাডেটতো দুরের কথা স্যারই হেসে উঠলেন। সবাই যে হাসছে ও বুঝতে পারেনি কেন হাসছে।ও যে অবলোহিত রশ্মি বলতে গিয়ে অবহেলিত রশ্মি বলেছে এটা পাশ থেকে মুকাব্বির বলে দেওয়ার পর খেয়াল হলো।শেষে বললো স্যরি স্যার ওটা হবে অবহেলিত রশ্মি। আবার হাসির রোল পড়ে গেল।
এভাবে তিনবার ও নিজেকে শুধরাতে গিয়েও একই ভুল করে চিরদিনের জন্য নিজের নামটা পরিচিত করে ফেললো। সেই থেকে তাকে সবাই অবহেলিত রশ্মি বলেই চিনতাম।এটা চলেছিল ফেয়ারওয়েল ডিনার পযর্ন্ত।কিন্তু সবই হতো টিচার এডজুটেন্ট, প্রিন্সিপালের অগচরে।কিন্তু আমাদের সেই অবহেলিত রশ্মির জনকই সবাইকে তাক লাগিয়ে বিজ্ঞানে প্রতিবার সব থেকে বেশি নম্বর পেতো।আমরা বলতাম সবই তোর অবহেলিত রশ্মির ছোয়ার কারিশমা। আমাদের সেই অবহেলিত রশ্মির জনক এখন জ্ঞানের রাজ্যে গামা রশ্মি ছড়িয়ে চলেছে অবিরাম।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬