Thursday, May 2, 2024
Homeনিবন্ধফিলিস্তিনের অকুতোভয় কিশোর কিশোরী

ফিলিস্তিনের অকুতোভয় কিশোর কিশোরী

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে জন্ম নেওয়া শিশুরা একদিন কিশোর হয়,তরুণ হয়, যুবক হয়। তারপর ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,পাইলট হয়। কিন্তু ফিলিস্তিন এমন একটি দেশ, যেখানে সেই সুযোগ মেলে না। ওখানে যুগে যুগে যে শিশু জন্ম নিয়েছে তাদের অনেকেই শৈশব পার করতে পারে না,অনেকেই কৈশোরে পা রাখতে পারে না। অনেকেই যৌবনের আগেই ঝরে পড়ে। তারা বীর কিশোর হয়,বীর তরুণ হয়, বীর যুবক হয়। বেঁচে থাকলে তাদের কেউ কেউ বীরপুরুষ হয়। এই পথপরিক্রমায় তাদের অনেকে শহীদ হয়। ফিলিস্তিনের শিশু কিশোর কিশোরীদের কথা ভাবলেই মনে পড়ে উর্দু ভাষার কবি ফয়েজ আহমদ ফয়েজের লেখা সেই কবিতা।ফিলিস্তিন নামক মৃত্যু উপত্যকায় বেঁচে থাকা শিশুদের সান্ত্বনা দিতে তিনি লিখেছিলেন- 

‘না বাছা, কেঁদো না!

তোমার বাসভূমে মৃতদের গোসল দিয়েছে সূর্য,

চাঁদ দিয়েছে কবর।’

দিন নয়, মাস নয় গত সত্তর বছর ধরে দখলদার ইসরায়েলিদের বন্দুক-বোমার প্রধান লক্ষ্যবস্তু হয়ে আছে ফিলিস্তিনে শিশুরা। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এমন হাজারো শিশু ঝরে গেছে। কিন্তু ওরা জানে তারা নিজে মরলেও জাতিকে টিকিয়ে রাখতে হবে। তাই ধ্বংসপ্রায় ফিলিস্তিনি জাতিকে টেকাতে, অজস্র মৃত্যুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শহীদদের শূন্যস্থান ভরাটের জন্য আরও আরও ফিলিস্তিনি শিশু জন্ম নিয়েছে। তারা যেন হৃদয়ে ধারণ করেছে মাহমুদ দারবিশের লেখা “পরিচয় পত্র” কবিতার সেই লাইন-

‘লিখে রাখো! আমি একজন আরব 

এবং আমার পরিচয়পত্রের নম্বর পঞ্চাশ হাজার!

আমার আটটি সন্তান আর নবমটি 

পৃথিবীতে আসবে গ্রীষ্মকালের পর

তোমরা কি ক্ষুব্ধ হবে তাতে?’

ফিলিস্তিনের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝেও বোমা-বারুদে মাটিতে মিশে যেতে থাকা এই উপত্যকায় প্রতিবছর অন্তত ৫০ হাজার নারী সন্তান জন্ম দেয়।এখন গাজায় প্রতিদিন অন্তত ১৬০ জন নারী সন্তান প্রসব করছেন।কী নির্মমতার শিকার ফিলিস্তিনের শিশু কিশোর কিশোরী যে, তাদের বয়স পরিমাপ করা হয় তারা কতগুলো ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে। গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই শিশু কিশোর কিশোরী। 

এই লেখাটি যখন লিখছি তখন টিভিতে বিশ্বকাপ ক্রিকেট ম্যাচ চলছে। গ্যালারিতে উপচে পড়া ভীড়। সেই ভীড়ের মধ্যে অগনিত কিশোর কিশোরী নানা রকম প্ল্যাকার্ড হাতে বসে আছে। নিজ দলের সাফল্য দেখলেই প্লাকার্ড উঁচিয়ে উল্লাসে মেতে উঠছে।আবার নিজ দলের ব্যর্থতায় গালে,কপালে হাত রেখে হতাশা প্রকাশ করছে।পাশেই ভাই, বোন কিংবা প্রিয়জন আছে।খেলা শেষ হলে হয়তো পাশের কোনো রেস্টুরেন্টে বসে রাতের খাবার খাবে।কেউ বাসায় বসে নেটফ্লিক্সে পছন্দের কোনো মুভি বা সিরিজ দেখছে। আবার কেউ বন্ধুদের সাথে চ্যাট করছে,গেমস খেলছে। ঠিক সেই সময়ে চোখের সামনে ভেসে আসলো ফিলিস্তিনি শিশুদের মুখ। পৃথিবীর সবুজ জমিন নিজেদের রক্তে রঞ্জিত করে যারা স্বাধীনতা চেয়েছে। মনে পড়ছে ফিলিস্তিনের মানুষের দুঃখ নিয়ে মাহমুদ দারবিশের লেখা কবিতার লাইন-

‘আজকের দিনটি আগামী দিনের থেকে হয়তো ভালো,

কেবল মৃত্যুগুলোই আজ নতুন

প্রতিদিনই জন্ম নেয় যে নতুন শিশুরা

তারা ঘুমোতে যাওয়ার আগেই ঘুমিয়ে পড়ে, মৃত্যুতে

তাদের গণনা করা মূল্যহীন।’

একই পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া কোটি কোটি শিশু কিশোর কিশোরীদের সাথে ফিলিস্তিনে জন্ম নেওয়া শিশু কিশোর কিশোরীদের জীবন ধারা আকাশ পাতাল ব্যবধান। ফিলিস্তিন হয়ে উঠেছে খোলা আকাশের নিচে পৃথিবীর বৃহত্তম জেলখানা। একদিকে পৃথিবীর অন্য দেশের কিশোর কিশোরীরা যখন প্রিয়জনের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছে, তখন ফিলিস্তিনের কিশোর কিশোরীদের চোখে ঘুম নেই,পেটে খাবার নেই,ঘুমানোর জায়গা নেই,পড়াশোনা করার মত  স্কুল নেই,মাথাগোজার মত ঠাই নেই। মনে পড়ছে ১৪ বছর বয়সী স্কুল পড়ুয়া কিশোরী মালাক আল খতিবের কথা। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর বেতিনে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে ইসরায়েলি বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে। দিনের পর দিন অত্যাচার দেখে সে ফুসে উঠেছিল। ইসরায়েলের সশস্ত্র সেনাদের ওপর বাধ্য হয়ে সে পাথর ছুঁড়ে হামলা করেছিল। তারপর তাকে গ্রেফতার করে ২ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।সেই সাথে জরিমানা করা হয় দেড় হাজার ডলার।কারাবন্দী থাকা এই কিশোরী ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতির প্রতীক হয়ে উঠেছে।

রামাল্লার কাছে বেইতিন শহরে কিশোরী মালাকের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। মালাকের মা খাওলা আল-খতিবদুঃখ জড়ানো কন্ঠে বলেছেন, ‘ প্রচন্ড শীতের মাঝেও গরম কাপড় ছাড়াই  কিশোরী মেয়েটিকে ডাণ্ডাবেরি পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এ অবস্থা দেখে মা হিসেবে আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। আমি তার জন্য বাড়ি থেকে শীতের কাপড় নিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু বিচারকের বাঁধার কারণে আমি পোশাকটি আমার মেয়েকে দিতে পারিনি।’ 

শুধু মালাক একা নয়! তার মত কিশোর কিশোরীর সংখ্যা অগণিত। মানবাধিকার সংগঠন ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল প্যালেস্টাইনের (ডিসিআই প্যালেস্টাইন) হিসাব মতে, পাথর নিক্ষেপের অভিযোগে দখলকৃত পশ্চিম তীর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রতিবছর গড়ে হাজার খানেক শিশুকে আটক করে।ইসরায়েলের কারাগারে এখনো ২০০ এর অধিক ফিলিস্তিনি শিশু-কিশোর কিশোরী বন্দী আছে। ইসরায়েলে ১২ বছরের কম বয়সীদের শিশু বলা হয়। ফলে বিচার করার সময় মালাক শিশু হিসেবে বিবেচিত হয়নি। যদিও ইউনিসেফের হিসাবে, ১৮ বছর পর্যন্ত ছেলে বা মেয়ে শিশুর মর্যাদা পায়। ইসরায়েল এর তোয়াক্কা না করেই ফিলিস্তিনের শিশুদের আটক, গ্রেপ্তার ও শাস্তি দিয়ে থাকে। 

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ফিলিস্তিনের শিশুদের প্রতি অমানবিক আচরণের জন্য ইসরায়েলের সমালোচনা করা হয়েছে। সেভ দ্য চিলড্রেনের ২০২২ সালের এক প্রতিবেদন অনুসারে, গাজায় প্রতি পাঁচ শিশুর মধ্যে চারজনই বিষণ্নতা ও ভয়ের মধ্যে বাস করছে। এখানকার অর্ধেকেরও বেশি শিশু আত্মহত্যার কথা ভাবে এবং অন্য শিশুদের মৃত্যুর সাক্ষী হওয়ার ট্রমা নিয়ে বেঁচে থাকে।আর এই বেঁচে থাকার সংগ্রাম দেখে দেখে তারাও হয়ে ওঠে বোমার মত শক্তিশালী। মাহমুদ দারবিশ তাই লিখেছিলেন –

‘মৃত্যু অবধারিত, কিন্তু তাই বলে

জীবনকে তো থামিয়ে রাখা যায় না।’

আর সে কারণেই বোধহয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ছাদখোলা কারাগারে জীবন-মৃত্যুর অঙ্ক কষতে থাকা ফিলিস্তিনি কিশোর কিশোরী মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় মরণ অবধারিত জেনেও গুলতি কিংবা পাথর হাতে ছিনা টানকরে দাঁড়িয়ে যায় ট্যাঙ্কের সামনে।

মালাকের কথা লিখতে লিখতেই চোখের সামনে ভেসে উঠছে আহেদ তামিমির মুখ। ১৬ বছরের এক অকুতোভয় কিশোরী। যে বয়সে হেসে খেলে পার করার কথা সেই বয়সে সে বন্দী জীবনের স্বাদ নিয়েছে। কোকড়া চুলের এই কিশোরী  মালাকের মতই হয়ে উঠেছে  ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তি আন্দোলন ও তৃতীয় ইন্তিফাদার প্রতীকী চরিত্র।তার একটি ভিডিও পৃথিবীর মানুষ দেখেছে। ভয়ংকর ক্রোধ নিয়ে সে তাকিয়ে আছে দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের দিকে। হুংকার দিয়ে চলে যেতে বলার পরও সেনারা যখন যায়নি তখন সে দুই সেনাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এতো কিছু করেও যখন সেনাদের সরাতে পারেনি তখন তাদের দুই গালে সজোরে থাপ্পড় মারতে শুরু করে।কী দুঃসাহসী অকুতোভয় এই কিশোরী যে অস্ত্রধারী ইসরায়েলি সেনার গালে থাপ্পড় মারে।কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।তাকে ও তার মাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে। তবুও সে মাথায় নোয়ায়নি। সে বোধহয় হৃদয়ে সেই কথাটি ধারণ করেছিল “ মৃত্যু একবারই হয়, ভীতুরা মৃত্যর আগে বহুবার মনে”। কিন্তু সে তো ভীতু নয়। তাই সে প্রতিবাদ করেছে। তার মুক্তির জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে আওয়াজ উঠেছে। কিশোরী মালাকার মতই তামিমির বাড়িও রামাল্লাতে। ছোট বেলা থেকেই প্রতিবাদে অংশ নেওয়া তামিমি সাহসিকতার জন্য এর আগেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনেক বছর ধরে তার গ্রামে প্রতি শুক্রবারেই প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। মাত্র ৯ বছর বয়সে তামিমি প্রথম মিছিলে অংশ নিয়েছিল। বিভিন্ন তথ্যউপাত্ত থেকে জানা যায় ২০১৫ সালে ১১ বছর বয়সে ইসরায়েলি সেনার হাত থেকে তার চাচাত ভাই মোহাম্মদকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল তামিমি।এমনকি সে তার ভাইকে বাঁচাতে এক ইসরায়েলি সেনার হাতে কামড় দিয়েছিল। ওই ছবি প্রকাশের দুই বছর পর তামিমিকে তুরস্কে “হানদালা সাহসিকতা পুরস্কার” দেওয়া হয়। একই সাথে তুরস্কের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তায়েফ এরদোয়ান তাকে সাক্ষাতের জন্য আমন্ত্রণ জানান। গত বছর শিশু অধিকারের উপর একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার জন্য খোদ যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংগঠন তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তবে দুঃখজনকভাবে মার্কিন প্রশাসন তাকে ভিসা দেয়নি।

মালাক আল খতিব কিংবা আহেদ তামিমির মত আরও এক কিশোরীর মথা মনে পড়লো। তার নাম উইসেল শেখ খালিল। গাজার রাস্তায় এক্কাদোক্কা খেলে বেড়ানো ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী সে । বয়সকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সে এখন ফিলিস্তিনের মানুষের মনে বীর হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।যতদিন পৃথিবী থাকবে নিশ্চই তার নাম উচ্চারিত হবে শ্রদ্ধার সাথে। অঙ্ক আর নাচে যার বেশ দখল ছিল।রঙ তুলি হাতে ধরিয়ে দিলে মনোমুগ্ধকর ছবি আঁকতো। খুবই সাধারণ, শান্ত কিশোরীটি হঠাৎ করে ক্ষোভে ফেটে পড়ল। পরিবারের সদস্যরা অনেক বোঝাল। বলল সীমান্তে গেলে ইসরাইলি সেনারা গুলি করে মেরে ফেলবে।যার রক্তে বারুদের গন্ধ, সে কি আর কারো বারণ শোনে? জানি  এই কিশোরী কখনো বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা পড়েনি “ বল বীর! বল উন্নত মম শির! শির নেহারি আমারই নত শির ওই শিখর হিমাদ্রির” । কবিতা না পড়লেও কিশোরী মেয়েটিও তার শির নত করেনি। সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে ১১ বছরের ছোট ভাইকে নিয়ে বিক্ষোভ করতে ইসরাইলি সেনাদের গুলি ও কাঁদানে গ্যাস উপেক্ষা করেই একেবারে সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছিল সে।  প্রথম দিকে সে বিক্ষোভকারীদের পানির বোতল এগিয়ে দিচ্ছিল। কিন্তু ইসরাইলি সেনারা দমন-পীড়ন বাড়ালে তার মনের মধ্যে আগুন জ্বলে ওঠে।মাতৃভূমি ফিলিস্তিনকে দখল করে গড়ে তোলা ইসরাইলের কাঁটাতারের বেড়া কেটে ফেলতে চেষ্টা করে।একপর্যায়ে ইসরাইলি সেনাদের স্নাইপারের গুলিতে শহীদ হয় অকুতোভয় কিশোরী উইসেল।তার মত অগনিত কিশোর কিশোরী চায় নিজের রক্তের বিনিময়ে হলেও যদি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আসে।

ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ পৃথিবী সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান ছিল না যাদের, সেই সব অসম সাহসী কিশোর কিশোরীই জীবনের পরোয়া না করে প্রতিনিয়ত ইসরাইলের নিপীড়নবিরোধী মিছিলে শামিল হয়েছে। উইসেল তার বাবা মাকে বলেছিল, “এভাবে মুখ বুঝে আর ইসরাইলি বর্বরতা মেনে নেবো না। অবশ্যই অন্যদের সঙ্গে সীমান্তে গিয়ে বিক্ষোভ করবো”।সেই সাথে আরও বলেছিল “মা, আমি যদি মারা যাই, তবে আমাদের ছোট্ট কক্ষটিতে আমার ভাইবোনরা একটু আরামে থাকতে পারবে। তারা থাকতে একটু বেশি জায়গা পাবে”। এইটুকু কিশোরী মেয়ে কত কিছু ভেবেছে। পরিস্থিতিই তাকে এভাবে ভাবতে বাধ্য করেছে।

পরিসংখ্যন বলছে এ বছরের শুধু মে মাসে ১৮ বছরের কম বয়সী ৩৩১ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে। ২০১৬ সালে প্রতি মাসে গড়ে ৩৭৫ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক ফিলিস্তিনিকে আটক করেছিল ইসরায়েল। এরপরও হামাসের ডাকে তৃতীয় ইন্তিফাদা শুরুর পর অসংকোচে রাস্তায় নেমে এসেছে ফিলিস্তিনি কিশোর-কিশোরীরা। আর আহেদ তামিমি, মালাক আল খতিব কিংবা উইসেল শেখ খলিল তাদের অনুকরণীয় নেতা হয়ে ওঠেছে।ফিলিস্তিন ও দেশটির মুক্তি আন্দোলনের সমর্থক হাজার হাজার কিশোর কিশোরী আশায় বুক বেঁধেছে, একদিন তামিমি,মালাক আর উইসেলের আত্মত্যাগের প্রতিদান তারা পাবে। স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠিত হবে। হয়তো এই পথ পাড়ি দিতে তাদেরও হয়ে উঠতে হবে একজন মালাক, একজন তামিমি একজন উইসেল। সেদিন পৃথিবীর অন্যসব শিশু কিশোর কিশোরীর মত তারাও হাসি আনন্দে নিরাপদে বেড়ে উঠবে। ফিলিস্তিন হয়ে উঠবে নিরাপদ শহর। সেই দিনের অপেক্ষায়।

– জাজাফী

২১ অক্টোবর ২০২৩

লেখাটি দৈনিক খবরের কাগজ পত্রিকায় ২৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে প্রকাশিত। লিংক

Most Popular