১৩ বছর বয়সী মার্লো বার্কলের জন্ম ১৮ নভেম্বর ২০০৮ ক্যালিফোর্নিয়াতে। ছোটবেলা থেকেই সে ক্যালিফোর্নিয়ার মনরোভিয়ার একটি থিয়েটারে অভিনয় শুরু করে যা তাকে জাতীয় টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে কাজের সুযোগ করে দেয় এবং ধীরে ধীরে সে হলিউড সিনেমায় জায়গা করে নেয়। সোশ্যাল মিডিয়া ইন্সটাগ্রামে সে বেশ জনপ্রিয়। এ বছর হলিউড নির্মিত তার অভিনীত দুটি মুভি রিলিজ হয়েছে যার মধ্যে একটি “স্পিরিটেড” এবং অন্যটি “স্ল্যাম্বারল্যান্ড”।গত ১৮ নভেম্বর তার ১৩ তম জন্মদিনেই নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে তার নতুন মুভি “ স্লাম্বারল্যান্ড”। কচিকাঁচার আসরের পক্ষ থেকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় এই কিশোরী অভিনেত্রীর স্বাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাজাফী।
প্রশ্নঃ কচিকাচার আসরের পক্ষ থেকে তোমাকে শুভেচ্ছা। আমরা যখন তোমার সাথে যোগাযোগ করলাম তখনো ভাবিনি তুমি আমাদেরকে সময় দিবে। তুমি কি এর আগে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে?
মার্লো বার্কলে: ধন্যবাদ তোমাকে। আমার অভিনীত নতুন মুভি রিলিজ নিয়ে ব্যাস্ত ছিলাম এবং পড়াশোনারও একটু চাপ ছিল। ফলে সময় মত রিপ্লাই দিতে পারিনি। তাছাড়া নিয়ম অনুযায়ি কিশোরী হওয়ায় বাবা মা সব দেখাশোনা করে। তারা যখন দেখলো বাংলাদেশ থেকে একটি বাংলা ভাষার পত্রিকা আমার ইন্টারভিউ করবে তখন বেশ অবাক হলো। এতো দূরের একটি দেশের একটি জনপ্রিয় পত্রিকা আমার ইন্টারভিউ করবে শুনে তারা যেমন আনন্দিত হলো আমিও আনন্দিত হলাম। এটি আমার জন্য সম্মানের বিষয়। এর আগে ওয়ার্ল্ডহিস্ট্রিতে বাংলাদেশ সম্পর্কে জেনেছি তবে সেটা ততোটা নয়।
প্রশ্নঃ এই মুহুর্তে তোমার নতুন মুভি “স্লাম্বারল্যান্ড” নেটফ্লিক্সে ট্রেন্ডিং হিসেবে আছে। আর মজার বিষয় হলো মুভিটি রিলিজ হয়েছে তোমার জন্মদিনে! তোমার অনুভূতি জানতে চাই।
মার্লো বার্কলে: আমার ১৩ তম জন্মদিনের সেরা উপহার ছিল মুভিটি রিলিজ হওয়া। এটি একটি স্বপ্নের মত মুভি। এই মুভিটি বিশ্বব্যাপী দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে। জন্মদিনে মুভি রিলিজ হওয়ার মত এক্সাইটিং আর কোনো বিষয় থাকে না। বাবা মা পরিবারের সবাইকে নিয়ে মুভিটি দেখার যে অভিজ্ঞতা সত্যিই মুগ্ধকর। বন্ধুরাও মুভিটি দেখে উচ্ছসিত প্রশংসা করেছে।
প্রশ্ন: তোমার কি মনে আছে কবে তুমি অভিনেতা হতে চেয়েছিলে? এবং অভিনেতা হতে চাওয়ার মূল কারণ কি ছিল? কারো অভিনয় দেখে অভিনেতা হতে চেয়েছিলে?
মার্লো বার্কলে: এই প্রশ্নটি আমার খুব ভালো লাগে। আমার বেশ মনে আছে আমি আমার বোনের সাথে গান করতাম। তখনো কিন্তু অভিনেতা হবো ভাবিনি। এরকম সময়ে একজন এজেন্ট আমাদের সাথে যোগাযোগ করলেন একটি অডিশনের জন্য। সেটা ছিল হলিউড নির্মিত সিঙ্গেল প্যারেন্টস মুভির অডিশন। আমি ও আমার বোন গেলাম। আমি ভাবিনি যে আমাকে ওরা নির্বাচিত করবে। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো ওরা আমাকে নির্বাচিত করলো। এটা ছিল আমার জীবনের প্রথম বড় প্রজেক্ট। যা শেষ করতে দুই বছর লেগেছিল।
প্রশ্ন: তোমার প্রিয় মিউজিক্যাল শো কোনটি? তুমি ব্রডওয়েতে কোন বাদ্যযন্ত্রে থাকতে চাও?
মার্লো বার্কলে: আমি বিটলজুইস করতে পছন্দ করবো। আমি মনে করি লিডিয়া চরিত্রে অভিনয় করা অনেক মজার হবে—বিটলজুইস-এ যে কোনো ভূমিকাই আশ্চর্যজনক হবে কারণ এটি একটি মজার মিউজিক্যাল শো।
প্রশ্ন: এবার জানতে চাই ক্রিস্টমাস স্টোরি বেসড মুভি “স্পিরিটেড” এ কাজ করার বিষয়ে। এটি একই সাথে একটি মিউজিক্যাল মুভি। এমন মুভিতে কাজ করার আগ্রহ হলো কিভাবে?
মার্লো বার্কলে: আমি আসলে ছোটবেলা থেকেই ক্রিস্টমাস মুভির ভক্ত। পাশাপাশি এটি একটি মিউজিক্যাল মুভি। আমি যখন দেখলাম এই মুভিতে উইল ফেরেল আর রায়ান রেনল্ডসের মত বিশ্ববিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী কাজ করছে তখন স্বাভাবিক ভাবেই আগ্রহী হয়ে উঠি। কারণ আমি জানি ক্রিস্টমাস রিলেটেড মুভি পরিবারের সবাই মিলে দেখে এবং রায়ান আর উইল ফেরেলের বিশ্বব্যাপী অনেক ফ্যানস থাকায় সহজে তাদের কাছে পরিচিত হওয়া যাবে। তাদের সাথে কাজ করাটা নিঃসন্দেহে দারুণ ব্যাপার। তারপর আমি স্ক্রিপ্ট পড়ে নিজেই নিজেকে বললাম “ ওহ এটাতো দারুন একটি গল্প, আমাকে এ গল্পে অভিনয় করতেই হবে। বিশেষ করে যখন আমি দেখলাম আমাকে ভিন্ন ভিন্ন দুটি চরিত্রে অভিনয় করা লাগছে”।
প্রশ্নঃ শুটিং সেটে বড়দের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানতে চাই। বড়দের সাথে কাজ করতে গিয়ে কি কোনো অসুবিধা হয়?
মার্লো বার্কলে: তোমাকে সত্যি বলছি আমার না ছোটদের থেকে বড়দের সাথে অভিনয় করতে বেশি ভালো লাগে। কারণ এর ফলে আমি খুব দ্রুত ম্যচিউরিটি লাভ করি। ছোটদের সাথে অভিনয় করার সময় সবাই আমাকে বাচ্চা বাচ্চা বলে ডাকে কিন্তু বড়দের সাথে কাজ করতে গিয়ে এমনটি হয় না কারণ পুরো সেটে বাচ্চা আমি একাই। আমি তাদের সাথে খুব ভালোভাবে মিশে যেতে পারি। আমার মনে হয় কিশোরী হিসেবে ছোটদের সাথে অভিনয় করার চেয়ে বড়দের সাথে অভিনয় করাটা বেশি সহজ।
প্রশ্ন: তোমার অভিনীত “স্পিরিটেড” এবং “স্লাম্বারল্যান্ড” মুভির গল্পে ক্ষতির সাথে মোকাবেলার যে প্লট তা প্রায় কাছাকাছি। যদিও তোমার ক্যারেক্টার ভিন্ন ভিন্ন এবং মুভিতে সিংহভাগ সময় তোমাকে দেখা গেছে। কোন মুভিটি তোমার বেশি ভালো লেগেছে এবং এই ধরনের প্লটে একাধিক মুভিতে কাজ করার বিষয়ে তোমার মতামত কী?
মার্লো বার্কলে: রিলিজের পর দুটি মুভিই আমি মনোযোগ গিয়ে দেখেছি। বিশেষ করে স্ল্যাম্বারল্যান্ড মুভিটি বেশি ভালো লেগেছে। এই সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। মুভিতে যে এক্সাইটিং দৃশ্যগুলো দেখে সবাই শিউরে উঠছে বাস্তবে তা শুটিং হয়েছে ঘরের মধ্যে মানে গ্রীনস্ক্রিনে! ভিএফএক্স এমন ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে যে মুভিতে নিজের দৃশ্যগুলো দেখে নিজেই শিউরে উঠেছি। অভিয়াসলি দুটি মুভিই মজার। তবে স্ল্যাম্বারল্যান্ড বেশি ভালো লেগেছে। এই মুভির ক্যারেক্টারটি ছিল চ্যালেঞ্জিং। এই ধরনের মুভিতে কাজ করতে আমার খুবই ভালো লাগে।
প্রশ্ন: মুভিতে ক্রিস ওডউড, জেসন মামোয়া এবং তোমাকে প্রথম সিলেক্ট করা হয়েছিল বলে জানি। সে ক্ষেত্রে তোমরা কি পারস্পারিক বুঝাপড়ার জন্য প্র্যাকটিস করেছিলে? যাকে বলে গ্রুমিং?
মার্লো বার্কলে: আমি জেসনের সাথে বুঝাপড়ার জন্য কিছু কাজ করেছিলাম তবে ক্রিসের সাথে করিনি। আমি আর ক্রিস সরাসরি সেটে শ্যুট করেছি কোনোরকম প্র্যাকটিস ছাড়াই যদিও তা ছিল কিছুটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার। তবে ভাবিনি কোনোরকম প্র্যাকটিস ছাড়াই সিন গুলো এতোটা ভালো হবে। আর জেসনের সাথে আমি জুমে মিটিং করেছিলাম। আর সত্যি বলতে জুম মিটিংয়ের শুরুতে আমি ভীষণ নার্ভাস ছিলাম কারণ সেটা ছিল তার সাথে আমার প্রথম মিটিং। কিন্তু সেরা মানুষগুলো এমনই হয় যে তারা আমাকে খুব সহজে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। আমরা শুটিংয়ের সময় অনেক মজা পেয়েছি কারণ রোল প্লে করার মাঝে হাঠৎ করে তার কুকুর ডেকে উঠতো আর তিনি সব ছেড়ে তাকে থামাতে এগিয়ে যেতেন। তার সাথে অভিনয় করতে গিয়ে আমার সব স্ট্রেস নিমিষেই হাওয়া হয়ে যায়। আমি তার থেকে অনেক কিছু শিখেছি।
প্রশ্ন: স্ল্যাম্বারল্যান্ড মুভিতে তোমাকে চরিত্রের মধ্যে ঢুকে যেতে দেখেছি। মনেই হয়নি ওটা সিনেমা। মনে হয়েছে বাস্তবেই নিমোকে সাগরের মধ্যে থাকা একটি লাইটহাউজে দেখছি। এই ধরনের কম্প্লেক্স ক্যারেক্টার কেন বেছে নিলে ?
মার্লো বার্কলে: স্ল্যাম্বারল্যান্ডের জন্য আমি প্রথমে অডিশন দিই। আমাকে স্ক্রিপ্ট পড়তে দেওয়া হয়। আমি স্ক্রিপ্ট পড়ে এতোটা মুগ্ধ হই যে পরিচালক ফ্রান্সিস লরেন্সকে আমি অডিশন চলাকালিন সময়েই বলি যে আমি যদি এই চরিত্রটি নাও পাই বা আমাকে নির্বাচিত নাও করা হয় তবুও আমি মুভিটি দেখবো। কারণ আমি দেখলাম নিমো চরিত্রটির সাথে আমি ভীষণ ভাবে কানেক্টেড হয়ে গেছি বিশেষ করে তার জীবনে আগত ঘটনাগুলি আমাকে স্পর্শ করেছে। পরবর্তীতে আমি যখন এই চরিত্রে অভিনয় করি তখন মনে হয়েছিল যেন আমার নিজের জীবনের গল্প এটা। আমার মনে হচ্ছিল আমি যেন সত্যি সত্যিই নিমোর সাথে ভ্রমন করছি বিচিত্র জগতে। এই মুভি থেকে আমি বাস্তব জীবনের জন্য যে উপলব্ধিটি পেয়েছি তা হলে ধৈর্য ধরতে হবে। এবং চারপাশ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
প্রশ্ন: আমরা দেখেছি স্ল্যাম্বারল্যান্ড মুভিতে তুমি দীর্ঘ সময় পানির নিচেয় অবস্থান করেছ। অনুমান করছি এগুলোর সবই ছিল সিজিআই এবং স্পেশাল ইফেক্ট। ঠিক কি না? এরকম কাল্পনিক গল্পে অভিনয় করতে কেমন লাগে?
মার্লো বার্কলে: সত্যি বলতে এটা একধরনের পাগলামীর মত মনে হয়। কখনো ভীষণ রোমাঞ্চকর আবার কখনো আতঙ্কের। তবে সব সময় স্ট্যান্ট করা বা এই ধরনের কাজ করার স্বপ্ন ছিল আমার। তাছাড়া পানির সিনগুলোর জন্য আমি দীর্ঘ সময় সুইমিং পুলে অবস্থান করেছি। সেটাও ছিল মজার অনুভূতি। কাল্পনিক চরিত্রে অভিনয় করা রোমাঞ্চকর বিষয়। বিশেষ করে মুভি রিলিজ হওয়ার পর নিজের কাছেই অবিশ্বাস্য লাগে। বন্ধুরাও ভীষণ এক্সাইটেড থাকে।
প্রশ্ন: সত্যিই দারুণ বিষয়। আমরা কিন্তু ভাবিনি যে পানির দৃশ্যগুলোর জন্য তোমাকে পানিতে থাকতে হয়েছে। আমরা ভেবেছি ওটা স্পেশাল ইফেক্ট ছিল।
মার্লো বার্কলে: এটা সত্যি। তবে আমার সেটে কলাকুশলীরা ছিল দারুণ শান্ত। এমনকি তারা মাঝেমাঝেই আমাকে বলতো যদি তোমার ব্রেক নেওয়ার দরকার হয় তবে তুমি রেস্ট নিতে পারো। ফলে আমি বেশ ভালো অনুভব করেছি। এই সিনগুলোর মধ্যে মাত্র একটিতে অভিনয় করতে গিয়ে আমি কিছুটা নার্ভাস ছিলাম আর সেটা হলো যখন আমি নৌকা থেকে পড়ে গেলাম এবং ডুবে গেলাম পানির নিচে।। সেই দৃশ্যের জন্য আমি অনেক বার প্র্যাকটিস করেছি। আমার বার বার মনে হচ্ছিল আমি পারবো না। আমি সেটা বলেছিলাম তাদেরকে। আমার স্ট্যান্ট সুপারভাইজার গুইলিয়ানো আমার কাছে আসলেন এবং বললেন তুমি চিন্তা করো না তুমি অবশ্যই পারবে। আমি তোমাকে দেখিয়ে দিচ্ছি। তারপর তিনি প্র্যাকটিক্যালি আমাকে স্টেপ বাই স্টেপ করে দেখালেন। এবং তখন বিষয়টা আমার কাছে খুবই ইজি হয়ে গেল।
প্রশ্ন: আমরা তোমার অভিনয়ের মুগ্ধতায় ভাসছি। এটিই সিনেমার যাদু। তোমার এখন অনেক ধরনের অভিনয় এক্সপেরিয়েন্স আছে। তুমি একজন মাল্টি ট্যালেন্টেড অভিনেতা। তোমার কাছে জানতে চাই পরবর্তীতে তুমি কোন ধরনের মুভিতে অভিনয় করতে চাও? কেমন চরিত্র চাও তুমি?
মার্লো বার্কলে: সত্যি বলতে আমি হরর মুভিতে অভিনয় করতে চাই। যদিও আমি একটা ভিতু বিড়াল। আমি মোটেও হরর মুভি দেখতে পারি না। ভয়ের সিনেমা আমাকে সন্ত্রস্ত করে রাখে যদি না অনেক গুলো ভালো মানুষ আমার সাথে থাকে। তার পরও কিন্তু আমি হরর মুভিতে কাজ করতে চাই যেখানে সুপার গ্রাফিক্স থাকবে,মজার সব মেকাপ থাকবে। এমনকি আমি ফাইটিং সিনেও অভিনয় করতে চাই যেখানে মারামারি করতে গিয়ে আমার নাক দিয়ে রক্ত বের হবে, বড় রকম আঘাতপ্রাপ্ত হবো বা আমি খুন হয়ে যাবো। আমার মনে হয় এটি হলে দারুণ হবে। কারণ আমার খুব দেখার ইচ্ছে এই ধরনের সিনগুলোর ব্যাকস্টেজ কাজগুলো কেমন হয়?
প্রশ্ন: মেকাপ বিষয়ে যেহেতু বললে তাহলে এ নিয়ে তোমাকে প্রশ্ন করি। লসঅ্যাঞ্জেলসে স্লাম্বারল্যান্ড মুভির প্রিমিয়ারে আমরা দেখেছি তুমি খুবই সুন্দর আর মিষ্টি একটি মেয়ে। তুমিকি বলবে যে তুমি বিউটি এবং ফ্যাশন বিষয়ে খুবই সচেতন ভাবে পদক্ষেপ ফেলো?
মার্লো বার্কলে: সম্ভবত এক কি দুই বছর আগের কথা আমি বলেছিলাম আমি মেকাপ সচেতন মানুষ। দুই বছর আগে যে পোশাক আমি পরতাম এখন সেগুলো দেখলে ভাবি হায় আমি এগুলো পরতাম! আমাকে নিশ্চই পাগলের মত দেখাতো! বর্তমানে আমি খুবই ফ্যাশন সচেতন। তবে সব সময়ই আমি গ্ল্যামরাস লাইফ পছন্দ করি। আমি মেকাপ করার সময় খুবই উপভোগ করি। বিশেষ করে কিভাবে নিজেকে আরও সুন্দর আর মুগ্ধকর রুপে উপস্থাপন করা যায় সেই প্রক্রিয়াটা আমার ভালো লাগে। মেকাপের পর নিজেকে আরো গর্জিয়াস মনে হয়।
প্রশ্ন: আমরা স্ল্যাম্বারল্যান্ড সিনেমায় নিমো চরিত্রে তোমাকে সত্যিকার অর্থেই একজন ১২ বছর বয়সী বাচ্চা হিসেবে দেখেছি। কিন্তু সিনেমার প্রিমিয়ার শোতে তোমাকে বেশ বড় মনে হয়েছে। তুমিকি নিজ থেকেই প্রেসের সামনে অপেক্ষাকৃত বড় হিসেবে প্রকাশ করতে চেয়েছ? ওরকম একটি কালারফুল মোমেন্ট তোমার কেমন লেগেছে?
মার্লো বার্কলে: আমি এখনো একজন কিশোরী। আমার বয়স মাত্র তের বছর এবং আমি এখনো ইয়াং। তবে আমি কিন্তু খুব বেশি ছোট নই। আমি নিজেকে ম্যাচিউরড মনে করি এবং মানুষকে তা দেখাতে চাই। এটি এমন একটি অনুভূতি যা তুমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবে না।
প্রশ্ন: তাহলে তোমার পরবর্তী লক্ষ্য কী? কবে নতুন কাজে ফিরবে?
মার্লো বার্কলে: ওয়েল, আমি অলরেডি নতুন একটি শোতে যুক্ত হয়েছি যার নাম “ টাইনি বিউটিফুল থিংস”। এই সিরিজে আমি বেশ কয়েকটি এপিসোডে আছি যেখানে আমি কার্থি হানের ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছি। তবে আমার বন্ধুরা এটি দেখতে পারবে না কারণ এটি ছোটদের জন্য নির্মিত নয়। যদিও এটি ছোটদের জন্য নির্মিত নয় তবু্ও এটির অংশ হতে পারাটা দারুণ ব্যাপার। সুতরাং আমি এক্সাইটেড এই সিরিজটি কেমন হবে সেটা দেখার জন্য। এছাড়াও আমার নানা জায়গায় অডিশন চলছে এবং খুশির খবর হলো “ স্ল্যাম্বারল্যান্ড-২” আসবে শিঘ্রই। তবে তা নিয়ে এই মুহুর্তে কিছু বলতে পারবো না।
কচিকাচার আসর: ধন্যবাদ মার্লো। আগামীতে আরও অসাধারণ সব মুভিতে তোমাকে দেখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
২৭ নভেম্বর ২০২২