পাগলের প্রলাপ কিংবা উর্বর মস্তিষ্কের চিন্তা ভাবনা

0
661
রাজনীতি থেকে শুরু করে ক্রিকেট,ফুটবল হয়ে সিনেমার নায়ক নায়িকা পযর্ন্ত সব বিষয়েই প্রতিটি মানুষের নিজস্ব পছন্দ,অপছন্দ,বক্তব্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক।ঠিক এই মুহূর্তে আমি যখন এই লেখাটি লিখতে বসেছি আমার হাতে আসলে তেমন কোনো কাজ নেই। তো ভাবলাম এটা নিয়ে কিছু লিখি।
প্রথমেই রাজনৈতিক দলের সমর্থন বিষয়ে বলি। আপনি যখন কোনো একটি দলকে পছন্দ করেন এবং অন্য একটি দলকে অপছন্দ করেন তার কারণ কী? কখনো কি সেটা ভেবে দেখেছেন? আপনি যে দলের সমর্থন করেন সেই দলের কোন বিষয়গুলি আপনাকে মুগ্ধ করেছে আর যেই দল সমর্থন করেন না তাদের কোন বিষয়টি আপনাকে তাদের দল সমর্থন করা থেকে সরিয়ে রেখেছে। আমি আমার বন্ধুদের মধ্যে দেখেছি তারা প্রায় সবাই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থক। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই তাদের কেউ কেউ দেখেছি ছাত্র নেতা হয়ে ক্যাম্পাসে প্রভাব বিস্তার করেছে। আবার কেউ কেউ অন্য দলের সমর্থক হয়ে নানা হয়রানির শিকার হয়েছে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক বা অন্যান্য নানা ক্ষেত্রে সমর্থকদের মধ্যে অনেক রকম বিষয় লক্ষ্য করা যায়। তারা সাধারণত যে দল সমর্থন করে তাদের ভুল গুলো এড়িয়ে যায় কিংবা ইচ্ছে অথবা অনিচ্ছেয় সেই সব ভুলগুলো স্বীকার করে না। প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই ভালো এবং মন্দ দিক আছে। প্রত্যেকেই কিছু না কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করে এবং কিছু না কিছু সমালোচিত কাজ করে। প্রত্যেক দলেই কম বেশি ভালো এবং খারাপ মানুষ থাকে। তাদের আচরণেও তা লক্ষ্যনীয়। কিন্তু প্রায় শতভাগ ক্ষেত্রে এই মন্দ বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়। একজন নেতার ভালো কাজে আপনি প্রশংসার বন্যা বইয়ে দিবেন কিন্তু তার মন্দ কাজে তার সমালোচনা করবেন না এটা কি আসলে ঠিক? আপনার কী মনে হয়? আপনি ঠিক কাজটি করছেন?
রাজনৈতিক নেতা একজন ড্রাইভার বা চালক। আর সাধারণ জনগণ সেই চালকের পিছনে বসা যাত্রী। এখন চালকের কাজ হলো সুন্দর ভাবে দেশ নামক গাড়িটি চালিয়ে নিয়ে যাওয়া। যেন যাত্রীরা নিরাপদে থাকে। কিন্তু দেশ চালক যদি কখনো ভুল করে,ভুল পথে চলতে শুরু করে যাত্রীরা সেটা কেন ধরিয়ে দিবে না? একজন বাস চালক যখন ভুল পথে গাড়ি চালানো শুরু করে কিংবা চলতি পথে মোবাইলে কথা বলতে থাকে বা বার বার থামতে থাকে তখন যাত্রীরা যেমন তাকে তাগাদা দেয়,ভুল ধরিয়ে দেয় ঠিক একই ভাবে কেন রাজনৈতিক নেতাদের ভুল হলে তা ধরিয়ে দেওয়া হয় না। বিশেষ করে সেই দলের সমর্থকরা কেন তা করে না? আমি দেখেছি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সমর্থক নিজ দলের ভুলগুলো পাশকাটিয়ে যায়। ছাত্র সংগঠনগুলো নিজ দলীয় সরকারের সব বিষয়ে সমর্থন করা ছাড়া কখনো সাধারণ মানুষের পক্ষ নিয়ে সরকারের কাছ থেকে কোনো দাবী আদায়ের নজির খুব একটা দেখা যায় না। এখনতো এমন হয়েছে যে ক্ষমতায় যখন যারা থাকে তাদের সমালোচনা করলেই বিপদ। গত কয়েক বছরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কত শত মামলা হয়েছে,কতজনের জেল হয়েছে তার হিসাব আমার কাছে নেই। এই যে একরোখা ভাব,প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে পারে কিন্তু সমালোচনা সহ্য করতে পারে না এটাই দেশের জন্য ক্ষতিকর। প্রশংসার পাশাপাশি যৌক্তিক সমালোচনা গ্রহণ করে নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নিতে পারলে সেই নেতা বা সেই দল নামে মাত্র নয় বরং সত্যিকার অর্থেই মানুষের হৃদয়ে স্থান পায়।
আরেকটি বড় সমস্যা হলো কেউ ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা করলেই তাকে বিরোধী দলের দালাল বলে সম্মোধন করা হয়। একই ভাবে বিরোধী দলের সমালোচনা করলে তাকে সরকারী দলের চামচা মনে করা হয়। এই বিষয়টি ঘটেছে আমাদের রাজনৈতিক দূরদর্শীতায় ফাকফোকর থাকার কারণে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের বড় বড় নেতাদের মুখেই শুনেছি কেউ কেউ বলেছে “ এখন গাছের পাতায় পাতায় আওয়ামীলীগ” জনাব ওবায়দুল কাদের বলেছেন “ এখন সবাই নেতা হতে চায়, সামনের সারিতে থাকতে চায়”।
এই যে সামনে থাকতে চাওয়া বা নেতা হতে চাওয়া কিংবা পাতায় পাতায় আওয়ামীলীগ এর কোনোটাই কিন্তু সুখকর নয়। দেশের সবাইতো আওয়ামীলীগ হতে পারে না আবার সবাই বিএনপি বা জামাত বা জাতীয় পার্টিও হতে পারে না। তার মানে এই যে অধিকাংশ লোক এদের মধ্যে একটি বড় অংশ সুবিধাভোগী। আর এর ফলে রাজনৈতিক বিভেদ,কোন্দল আরও অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে এই যে সবাই নেতা হতে চাইছে এর কারণ কী? আমার ধারণা ওরা জানে নেতা হওয়া মানেই সুযোগ সুবিধা পাওয়া। আজ থেকে বিশ বছর আগে যারা বিভিন্ন দলের নেতা হয়েছিল আর আজকে যারা নেতা হচ্ছে তাদের মধ্যে আকাশ পাতাল ব্যবধান। এটা কিন্তু তারা হাওয়া থেকে শেখেনি বরং সিনিয়রদের দেখেই শিখেছে। যখন সংবাদপত্রে প্রকাশ হচ্ছে অমুক ছাত্রনেতার কোটি কোটি টাকা হয়েছে তখন স্বাভাবিক ভাবেই একরকম লোভ তৈরি হচ্ছে। আর পত্রিকায় প্রকাশ হতে হবে এমন নয় বরং নেতার চালচলন,গাড়ি বাড়ি দেখে কারো বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে এই মানুষটি আগে কেমন দিনকাটাতেন আর এখন কেমন কাটান। ফলশ্রুতিতে সবাই নেতা হতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক।
রাজনৈতিক এবং অন্যান্য বিষয়ে সমর্থকদের মধ্যে পারস্পারিক সম্মান দেখানো বা অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টা এখন নেই বললেই চলে।বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন “ সংখ্যায় যদি একজনও হয় আর সে ন্যায্য কথা বলে সেটা গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হবে”। আজকাল একজনতো দূরের কথা হাজার বা লাখ মানুষ একটি দাবী উত্থাপন করলেও তা ধোপে টেকে না। এই যে দেশের দুটি বৃহত্তম দল আওয়ামীলীগ আর বিএনপি। দুই দলের সমর্থক ও নেতা কর্মীদের মধ্যে আজ পযর্ন্ত একটি বিষয়ও পাইনি যেখানে একমত হয়েছে। একদম সাধারণ সমর্থক থেকে শুরু করে সিনিয়র নেত্রীবৃন্দ পযর্ন্ত সবার একই অবস্থা। দুই দলের নেতারাই বিপরীত দলের প্রয়াত নেতাদের নিয়ে যখন যা খুশি বলছে। এতে করে ওই সব নেতাদের সম্মান বাড়ছে না বরং কমছে। তারেক রহমান যখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করছে তখন আওয়ামীলীগের নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কথা তুলছে। এতে মূলত দুই দল পরস্পর একার্থে নিজেরাই নিজেদের নেতাদের অসম্মান করছে।
এর পর আমরা বলতে পারি নাম পরিবর্তনের সংস্কৃতি নিয়ে। এটি বাংলাদেশের জন্য খুবই উদ্বেগজনক এবং ক্ষতিকর বিষয়। কোনো একটি প্রতিষ্ঠান নির্মানের পর যে নামকরণ করা হয় পরবর্তীতে সেটা পরিবর্তন করলে কত কিছুতে যে পরিবর্তন করা লাগে তা কল্পনাতীত। আর যদি বিষয়টি আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক যুক্ত হয় তাহলে বিশ্বব্যাপী তার পরিবর্তন করলা লাগে। যেমন উদাহরণ স্বরুপ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কথাই বলি। এটি নির্মানের সময় কী নাম ছিলো তা না হয় নাই বললাম। জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে দীর্ঘকাল এটি সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। পরবর্তীতে সেটি যখন পরিবর্তন করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করা হলো তখন দেশে বিদেশে সব জায়গায় এই নামটি সংযোজন করার জন্য কত কিছু পরিবর্তন করা লেগেছে! প্রচুর টাকা খরচ হয়েছে। এই যে নাম পরিবর্তন হলো ধরে নিলাম একজন আল্লাহর ওলীর নামে নামকরণ করা হয়েছে ঠিক আছে। কিন্তু যদি আবার বিএনপি ক্ষমতায় আসে কখনো আর তারা যদি যে কোনো কারণেই হোক এখনকার নামটি পরিবর্তন করে আবার জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামকরণ করে তাহলে কী ঘটবে? দেশের প্রচুর অর্থ অপচয় হবে। আবার বিশ্বব্যাপী এই পরিবর্তন নিয়ে কাজ করতে হবে।
এভাবে পালাক্রমে আবার ক্ষমতার বদল হলে আবার নাম পরিবর্তন হবে যা কোনো ভাবেই কাম্য হতে পারে না। এর আগে আমার যতদূর মনে পড়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের নামও পরিবর্তন করে বেগম খালেদা জিয়া মেডিকেল কলেজ করা হয়েছিল এবং আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সেটি পরিবর্তন করে আগের নাম বহাল রেখেছে। আমার মতে যখন যে সরকারই আসুক না কেন এই নাম পরিবর্তনের সংস্কৃতি বদলানো উচিৎ। কারো নামে কিছু করতে হলে যখন নতুন একটি প্রতিষ্ঠান দাড় করানো হবে তখন সেটির নামকরণ সেই মানুষের নামে করা যেতে পারে এবং পরবর্তী সময়েও সেই নামটিই বহাল রাখা উচিৎ। নাম পরিবর্তনের সংস্কৃতি কোন দল চালু করেছিল এসব নিয়ে আর জলঘোলা করা ঠিক হবে না। যারাই করুক সেসব ভুলে গিয়ে এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।
প্রথমে যে কথাটি বলছিলাম প্রশংসা ও সমালোচনা নিয়ে। আপনি আপনার পছন্দমত একটি দল সাপোর্ট করবেন এটি আপনার অধিকার। এই অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার অধিকার কারো নেই। কিন্তু আপনিকি কোনো একটি দল সাপোর্ট করতে গিয়ে নিজেকে সেই দলের অন্ধ সমর্থক বানিয়ে ফেলছেন কি না সেটা ভেবে দেখেছেন? আপনার পছন্দের দলের কোনো খারাপ বিষয়টি আপনার চোখে পড়ে না? পড়লেও আপনি এড়িয়ে যান? তাহলে আমার মতে আপনি সঠিক পথ অবলম্বন করছেন না। ভালো এবং মন্দ উভয় দিক বিবেচনা করতে হবে। যে ছাত্রটি সবগুলো প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলো আর যে ছাত্রটি কয়েকটি ভুল উত্তর দিলো উভয়ে সমান নাম্বার পেতে পারে না। ভালো করলে ভালোর প্রশংসা করতে হবে এবং খারাপ করলে তার সমালোচনা করতে হবে। আবার সমালোচনার নামে অযথা দোষারোপ করাও নিন্দনীয় কাজ। ব্রাজিল কবে সাত গোল খেয়েছিল সেটা তুলে যেমন খোঁচা মারা যুক্তিযুক্ত নয় একই ভাবে আর্জেন্টিনা কত বছর বিশ্বকাপ পায়নি বা ব্রাজিলের তুলনায় কত কম পেয়েছে সেটা দেখিয়ে আর্জেন্টিনা সমর্থকদের দুয়ো দেওয়াও ঠিক নয়। পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ থাকা চাই। আপনি তখনই উত্তম সমর্থক হয়ে উঠবেন যখন আপনার চোখে আপনার সমর্থিত দলের ভুলগুলো চোখে পড়বে,সমালোচনা করবেন এবং বিপরীত দলের ভালো গুলো চোখে পড়বে এবং প্রশংসা করবেন। আপনি ব্রাজিলের সাপোর্টার হয়ে যদি দেখেন মেসি ভালো করেছে তবে তার প্রশংসা করা উচিৎ এবং আপনি আর্জেন্টিনার সমর্থক হয়ে যদি দেখেন ব্রাজিল খারাপ করেছে তাতে হাসাহাসি করা উচিৎ নয়।
ঠিক একই ভাবে আপনি যে রাজনৈতিক দলকেই সাপোর্ট করুন না কেন সেই দলের ভালো মন্দ উভয় দিক আপনি সমান চোখে দেখবেন এবং আপনার বিপরীত দলের ভালোগুলোকে স্বীকার করবেন।ব্যক্তিগত ভাবে আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থক নই। এমনকি আমি মধ্যস্বত্ত্বভোগীও নই। আমি অবজার্ভার। আমি আমার নিতান্ত জ্ঞান থেকে বার্ডসআই ভিউতে দেখি। সরকারি বা বিরোধী যে দলই হোক না কেন তাদের ভালো কাজগুলোকে আমি সমর্থন জানাই এবং মন্দ কাজগুলোর বিরোধীতা করি বা সমালোচনা করি। একটি উন্নয়ন মূলক কাজ দেখে আমি সরকারের প্রশংসার পাশাপাশি সেই একই কাজে প্রাক্কলিত বাজেটের তুলনায় খরচের পরিমান কয়েকগুন বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করি। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় একটি ঘটনা। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদানকে আমি খুবই ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। পাশাপাশি অনেক ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার কথা শুনি সেগুলোর বিরোধীতা করি।যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে পুরোপুরি সমর্থন করি এবং ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলে অনেকেই একই অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পরও বহালতবিয়তে থাকাকে সমালোচনা করি। বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে দেশে দাম বাড়বে এটা আমিও মানি কিন্তু বিশ্ববাজারে যখন দাম কমে তখন দেশের বাজারে সেই একই পণ্যের দাম কমে না। এটির কঠোর সমালোচক আমি। ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে ভেগে যাবে তাদেরকে কিছুই বলা হবে না অথচ গরীব কেউ দশ বিশ হাজার টাকা নিয়ে সময় মত দিতে না পারলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় এটির ঘোর বিরোধী আমি। আইন সবার জন্য সমান হওয়ার পক্ষে আমি।
আমি একই সাথে ছাত্ররাজনীতির পক্ষে কিন্তু সেটা যেন কোনো ভাবেই দলীয় লেজুড়ভিত্তিক না হয়। উষ্কানীমূলক বক্তব্য আমি ঘৃণা করি। বিএনপি এক সময় বলতো আওয়ামীলীগ আগামী পঞ্চাশ বছরেও ক্ষমতায় আসবে না এবং এখন আওয়ামীলীগও বলে বিএনপি আগামী ৫০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আমি এরকম কথা বলার বিপক্ষে। এটিকে আমার কাছে অহংকার মনে হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের লাগামহীন বক্তব্য,খোঁচা মারা কথা আমার পছন্দ নয়।
১৫ জুন ২০২২