Friday, March 29, 2024
Homeগল্পশিয়ালদহর পথে

শিয়ালদহর পথে

শিয়ালদহ ইস্টিশানে নেমেছি।চারদিকে এতো মানুষের ভীড় আমি জীবনেও দেখিনি।আমার কাছে ভীড় মানেই গুলিস্থান,শাখারি বাজার নয়তো বড়জোর ফার্মগেট।কিন্তু শিয়ালদহ ইস্টিশানের ভিড় দেখে মনে হলো বাংলাদেশের ওই সব ভীড় এর কাছে নগন্য।আমার অবস্থা তখন আসিফের সেই কুয়োর ব্যাঙের মত।আচ্ছা কুয়োর ব্যাঙের ঘটনাটা আরেকবার বলে রাখা ভাল।কারণ সবাইতো আর কুয়োর ব্যাঙের গল্পটা জানেনা।যারা জানে তাদের কথা আলাদা কিন্তু যারা জানেনা তারা অন্তত নতুন করে জেনে নিতে পারবে।

আমার মামাতো ভাই আসিফের একটা বড় গুন ছিল আর তা হলো সে মানুষ ছাড়াও অন্যান্য প্রাণীর সাথে কথা বলতে পারতো। এই কুয়োর ব্যাঙের বিষয়টাও ওর মূখ থেকেই শোনা।ওদের একটা কুয়ো ছিল যেটাকে অনেকে ইদারা বলে।সেই কুয়োয় ছিল একটা ব্যাঙ।যে মনে করতো ওই কুয়োটাই হলো পৃথিবীর সব থেকে বড় জলাশয়।কিন্তু কালক্রমে প্রচুর বৃষ্টি হলো আর কুয়োটা ভরে ব্যাঙটা ভাসতে ভাসতে ওদের পুকুরে গিয়ে পড়লো। তখন সে নিজেই নিজেকে বললো আমি এতোদিন ভুল ভেবেছি।ওই কুয়োটা পৃথিবীর সব থেকে বড় জলাশয় নয়। সব থেকে বড় জলাশয় হলো এটা।ওই পুকুরে গোসল করার সময় আসিফের সাথে কথা হয়েছিল ব্যাঙটার।আসিফ ওকে বলেছিল তুমি চাইলে এর চেয়েও বড় জলাশয়ে তোমাকে নিয়ে যেতে পারি।ব্যাঙটা রাজি হলে একদিন আসিফ ব্যাঙটাকে নবগঙ্গা নদীতে নিয়ে ছেড়ে দিল।তখন ব্যাঙটা আসিফকে বললো আমি এতোদিন ভুল ভেবেছিল। আসলে পৃথিবীর সব থেকে বড় জলাশয় হলো এই নদীটা। বলেই সে ডুব দিল আর ফিরলো না। আসিফও বাড়িতে ফিরে গেল।ওই ব্যাঙটা জানতেও পারলো না যে এর পর আছে সাগর তার পর আছে মহাসাগর।

ওই ব্যাঙের মতই আমিও ভাবতাম ফার্মগেট কিংবা গুলিস্থানের ভীড়ই পৃথিবীর সব থেকে বেশি।কিন্তু শিয়ালদহ ইষ্টিশানে নেমে আমার ধারনা ভুল প্রমানিত হলো।আমি যেহেতু ব্যাঙ নই (কেউ কেউ ভাবতে পারেন তুমি ব্যাঙ নওতো হাতি ঘোড়া?) তাই তার মত আর ভুল করতে চাইনা। আমি বিশ্বাস করি এই শিয়ালদহর চেয়েও ভীড় ওয়ালা যায়গা হয়তো আছে যা আমার জানা নেই। যাই হোক আসল কথায় আসি। শিয়ালদহ ইষ্টিশানে নেমেছি কারণ ওখান থেকে পনের কিলোমিটার উত্তরে নাগপুরে অসীম পোদ্দারের বাড়ি।আমার বন্ধু সে।স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ ছেড়ে ইন্ডিয়াতে চলে এসেছিল এবং এখানেই স্থায়ী হয়েছে। আমরা একই স্কুলে পড়তাম এবং স্বাধীনতার সময়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও পরে আবার যোগাযোগ হয়েছে। সে আমার খুব ভাল বন্ধু।তার মেয়ে বিমলার বিয়ের জন্যই আমার এবার ইন্ডিয়াতে আসা।সে তো আর যে সে বন্ধু না যে তার মেয়ের বিয়েতে না গেলেও চলবে। সে আমার বাল্য বন্ধু।তাই না যেয়ে উপায় ছিলনা।তাছাড়া বিমলাও ফোন করে বললো আমি যদি না যাই তবে সে নাকি আর কোন দিন আমাকে বাবাই বলে ডাকবেনা।

আজীবন অকৃতদার আমি।পরিবার বলে কিছু নেই আমার।অসীমের মেয়েটা ছোটবেলা থেকেই আমাকে বাবাই বলে ডাকতো।যদিও ওর সাথে আমার কোন দিন দেখা হয়নি।এতো করে যখন মেয়েটা বলছে তাই না এসে থাকতে পারিনি।

শিয়ালদহ ইস্টিশানে নামতেই এক ভিক্ষুক এসে ভিক্ষা চাইলো।আমি পকেট থেকে একটা দশ রুপির নোট তার হাতে দিলাম।সে নোটটা হাতে নিয়ে বললো আমার কাছে ভাংতি নেই।ভাংতি দেন।আমি বললাম ভাংতি লাগবে কেন? আমি তোমাকে পুরো দশ রুপিই দিয়েছি।সে এবার নোটটা ভাল করে উল্টেপাল্টে দেখলো।তার পর বললো এটা কি আসল নোট নাকি নকল?আমি বললাম এটা অবশ্যই আসল নোট।এটা নকল হতে যাবে কেন?সে তখন বললো না কেউতো কখনো এক রুপির বেশি দিতেই চায়না সেখানে আপনি দশরুপি দিচ্ছেন তাই।ছেলেটার বয়স ১২ বা তার একটু কম হবে।ওকে কি করে বলি আমাদের দেশে ফার্মগেটের ওভারব্রিজের উপরে বসে যারা ভিক্ষা করে তাদেরকে কেউ কেউ কখনো কখনো পাঁচশো টাকাও দিয়ে থাকে এবং সেই সব ভিক্ষুকেরা মোটেও তাতে অবাক হয়না।ছেলেটা দশরুপির নোটটা হাতে নিয়ে দেখতে দেখতে চলে গেল।আমার মনে হলো সে জীবনে এর থেকে বেশি খুশি কোন দিন হয়নি।

আমার সাথে এসেছে আমাদের আরেক বন্ধু অজিত গাঙ্গুলি।ওকে একপাশে বসিয়ে রেখে আমি দোকানে গেলাম।অজিত একটা দুর্ঘটনায় পা হারিয়ে ফেলায় হাটতে পারেনা।হুইল চেয়ারই ওর একমাত্র ভরসা।কিন্তু দোকানে যাওয়ার সময় ওকে আর সাথে নিলাম না।দোকানে গেলাম সিগারেট কিনবো বলে।আমার সিগারেটের অভ্যাস নেই।আমি গেলাম অজিতের জন্য সিগারেট কিনতে।ওর আবার সিগারেট ছাড়া চলেই না।যেন সিগারেট নয় ওটা অক্সিজেন তৈরির মেশিন।

দোকানটা সাদামাটা,চারপাশে বেশ কজন লোক বসে আছে। কেউ চা খাচ্ছে কেউ সিগারেট খাচ্ছে।দোকানের টিভিতে তখন আইপিএল খেলা চলছে।কোন কোন দল খেলছে তা দেখার সময় ছিলনা আমার। আমি দোকানদারকে বললাম দাদা ব্যানসন লাইট দিনতো।তিনি আমাকে একটা সিগারেট এগিয়ে দিলেন।আমি বললাম পুরো এক প্যাকেট দিন।তিনি মনে হয় আমার কথা শুনতেই পেলেন না।থ মেরে থাকলেন।তার হাতে তখনো সেই একটা সিগারেট ধরা।আমি আবার বললাম দাদা পুরো এক প্যাকেট দিন।আমার কথা শুনে আসেপাশে যারা বসে ছিল তারাও আমার মূখের দিকে তাকিয়ে থাকলো।যেন আমি কোন দেখার বস্তু যাকে খুটিয়ে খুটিয়ে মুগ্ধ হয়ে দেখতে হবে। আমি বিষয়টা বুঝতে পারিনি।তৃতীয়বার বলার পর দোকানদার এক প্যাকেট সিগারেট দিলে আমি দাম মিটালাম।দোকানদার বললেন দাদা আপনিকি বাংলাদেশ থেকে আসছেন? আমি বললাম জ্বি! কিন্তু কেন বলুনতো?

তিনি বললেন কারণ বাংলাদেশীরা টাকাকে টাকাই মনে করেনা।কথাটার মানে বুঝতে না পেরে বললাম এ কথা বলছেন কেন?দোকানদার তখন বললেন আমাদের এখানে কেউ একটা সিগারেটই কেনেনা সেখানে আপনি এক প্যাকেট কিনছেন।বাংলাদেশীরাই শুধু এরকম করে।আমাদের এখানেতো একটা সিগারেট কিনে দুজন কি তিনজন ভাগাভাগি করে খায়।তার কথা শুনে ভীষণ রকম অবাক হলাম।আমাদের দেশেতো অনেকের দিনে দেড় থেকে দুই প্যাকেট সিগারেট লাগে! আমি আর কথা না বাড়িয়ে অজিতের কাছে ফিরে গিয়ে ঘটনাটা বলতেই সে হেসে উঠলো। তার পর বললো চল সামনে গেলে আরো অনেক কিছু জানতে পারবি।

প্রথম বার ইন্ডিয়াতে এসেছি এবং যাচ্ছি বাল্য বন্ধু অসীমের একমাত্র মেয়ের বিয়েতে যেকিনা আমাকে কথা বলা শেখার পর থেকে বাবাই বলে ডাকে।সেই বাড়িতে নিশ্চই খালি হাতে যাওয়া যায়না।একটা বড় সড় মিষ্টির দোকান দেখে অজিতকে বাইরে রেখেই ঢুকে পড়লাম।দোকানীকে বললাম পাঁচ কেজি চমচম দিন।আমি আগেই একটা ধারণা পেয়েছিলাম তাই আশা করেছিলাম এই দোকানীও নিশ্চই চমকাবেন।এবং আমার অনুমান সত্যি করে দিয়ে তিনিও একই প্রশ্ন করলেন আমি বাংলাদেশী কিনা।আমারও একই উত্তর।তবে তিনি আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে দিয়ে বললেন দাদা পাঁচ কেজি মিষ্টি যে কিনবেন তা এতো মিষ্টি নিয়ে যাবেন কিভাবে? কোন ভাড়া করা গাড়ি আছে সাথে?

আমি অবাক হয়ে বললাম পাঁচ কেজি মিষ্টি নিতে ভাড়া করা গাড়ি লাগবে কেন?ইন্ডিয়াতেকি এক কেজি সমান অন্য দেশের এক মনের সমান নাকি?আমরাতো আত্মীয় বাড়িতে চার পাঁচ কেজি মিষ্টি হাতে করেই নিয়ে যাই।আমি কথাগুলো নিজেই নিজেকে বললাম। তার পর দোকানদারকে বললাম দাদা আপনি প্যাকেট করেন। কিভাবে নিয়ে যাবো সেটা আমি বুঝবো। আমার কথা মত দোকানী প্যাকেট করতে শুরু করলেন আর আমি কাউন্টারে দাম মিটিয়ে বাইরে অজিতের পাশে এসে দাড়ালাম।এই ঘটনাটাও অজিতকে বললাম।সে আগের চেয়েও বেশি হাসলো।তার পর বললো তোর পাঁচ কেজি মিষ্টি নিয়ে যাওয়ার জন্য সত্যি সত্যিই কিন্তু গাড়ি ভাড়া করতে হবে।অজিতের কাঁধে একটু আলতো ধাক্কা দিয়ে বললাম ইয়ারকি করবিনা।বেশি তেড়িবেড়ি করলে এখানে বসেই পাঁচকেজি মিষ্টি পেটের মধ্যে চালান করে দেব।তার পর বডি সহ সেই পেটটাকে টেনে নিয়ে যাবো অসীমের বাড়িতে।যদি কোন সিস্টেম থাকে তাহলে ওখানে গিয়ে একটা একটা করে মিষ্টি পেট থেকে বের করবো।

অজিত আমার কথাকে স্বাভাবিক ভাবে নিয়েই বললো দোস্তু সত্যি সত্যিই আমি ইয়ারকি করছিনা।দোকানদার মিষ্টি প্যাকেট করার পর বুঝবি আসল কাহিনী।আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারলাম না।এরই মধ্যে দোকানদার ডাকলো দাদা গাড়ি ঠিক করছেন? আপনার মিষ্টি কিন্তু রেডি।দোকানদারকি আমার সাথে মশকরা করছে নাকি বুঝলাম না।আবার অজিতও একই রকম কথা বলছে।বিষয়টা কি সেটা বুঝে ওঠার জন্য দোকানের ভিতরে গিয়ে আমার চোখ কপালে।মোট ২৫ প্যাকেট হয়েছে সেই মিষ্টি।মানে প্রতি কেজির জন্য ৫টা প্যাকেট।আমি বললাম কি করেছেন এটা।এতো প্যাকেট কেন?পাঁচ কেজি মিষ্টি নিতেতো দুটো প্যাকেটই যথেষ্ট।দোকানদার তখন বললেন আমাদের এখানে ওভাবে কেউ মিষ্টি কেনেনা।এখানকার প্যাকেটে একসারি মিষ্টি ধরে আর তার ওজন হয় ২০০ গ্রাম।

২৫ প্যাকেট মিষ্টি একসাথে করলে সেটার জন্য আসলেই একটা গাড়ি দরকার।সেই প্রথম একটা প্রবাদের সত্যতা পেলাম। খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি কিংবা ঘোড়ার চেয়ে চাবুকের দাম বেশি।পাঁচকেজি মিষ্টি বয়ে নেওয়ার জন্য এখন আমাকে ১২০ রুপি দিয়ে একটা গাড়ি ভাড়া করতে হচ্ছে এর চেয়ে আজগুবি ব্যাপার আর কি থাকতে পারে।শেষে বাধ্য হয়েই আমি একটা গাড়ি ঠিক করলাম।মিষ্টি দেখে গাড়িওয়ালাও জানতে চাইলেন।না তিনি কিন্তু অন্যদের মত জানতে চান নি যে আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি কিনা।তাহলে তিনি কি জানতে চাইলেন? তিনি বললেন দাদা কারো শ্রাদ্ধ নাকি যে এতো মিষ্টি কিনেছেন।

আমি তাকে কি করে বলি ওরে পুটিমাছের প্রানের দেশের লোক আমাদের দেশে পিএসসির মত একটা পরীক্ষাতে কারো ছেলে মেয়ে বি গ্রেড পেয়ে পাশ করলেও অন্তত সাত আট কেজি মিষ্টি কেনে আর তোরা মাত্র পাঁচ কেজি মিষ্টি দেখেই খেই হারিয়ে ফেলেছিস।আর যদি আমাদের এসএসসিতে এ প্লাস পাওয়ার সময় ঢাকাতে থাকতি তবেতো হার্টফেল করেই মরতি। আমি আর কথা না বাড়িয়ে তার সাথে মিলে মিষ্টির প্যাকেটগুলো গাড়িতে তুললাম। তার পর একপাশে অজিতকে বসিয়ে সামনের সিটে আমি বসলাম ড্রাইভারের পাশে।গাড়ি চলছে।এর আগে ইষ্টিশানে নেমে একটা এয়ারটেল সিম কিনেছি।ইন্ডিয়াতে তুলনামূলক ভাবে এয়ারটেলই ভাল সার্ভিস দেয়।বাংলাদেশে কিন্তু এই কোম্পানীর সার্ভিস সব থেকে নিম্নমানের।

ফোন করে অসীমকে জানালাম যে আমরা আর ঘন্টাখানেকের মধ্যেই চলে আসবো।সে বললো ঠিক আছে সাবধানে চলে আয়।আমি বাড়ির সামনে দাড়িয়ে থাকবো তোদের জন্য।আমরা সময়মত পৌছে দেখি সত্যি সত্যিই অসীম দাড়িয়ে আছে।অসীমের গা ঘেষে এক আঠারো বছরের সুকন্যা দাড়ানো।আমার বুঝতে বাকি নেই যে ওটাই অসীমের কন্যা।ফেসবুকে ওর অনেক ছবি দেখেছি তাই না চেনার কোন কারণ নেই।সেও যে আমাকে চেনে সেটা বলাই বাহুল্য কারণ আমার ছবিও সে দেখেছে।আর প্রতি সপ্তাহেতো কথা হতোই।আমাকে দেখে দৌড়ে এসে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বাবাই বাবাই বলে ডাকতে লাগলো।অসীমের অনেক সৌভাগ্য যে ওর মত একটা লক্ষ্মী মেয়ে ওর ঘরে জন্ম নিয়েছে।

গাড়ি থেকে মিষ্টির প্যাকেট নামানোর সময় বিয়ে বাড়িতে যত লোক এসেছিল সবাই এসে জড় হলো।যেন আমি সাথে করে মিষ্টি নিয়ে আসিনি বরং তাজমহলটাই তুলে নিয়ে এসেছি।ইর্ন্ডিয়ার মানুষের এতটুকুতেই বিস্মিত হওয়া দেখে আমি নিজেই অবাক হয়েছি।অসীম কিংবা ওর মেয়েটা কিন্তু বিস্মিত হয়নি।অসীমতো বাংলাদেশীই। সে জানে আমাদের মন কত বড়।আর অসীমের রক্ত বয়ে বেড়ানো মেয়েটিও হয়তো সেই সংস্কৃতি নিয়েই বেড়ে উঠেছে।

বিয়ের যাবতীয় অনুষ্ঠানাদি শেষ হওয়ার পর যখন বাংলাদেশের পথে পা বাড়িয়েছি তখন বার বার ওই সব দৃশ্য ভেসে উঠছে আর অবাক হয়ে ওদের কথা ভেবে ভাল লাগছে।

এয়ারপোর্ট ইস্টিশানে ট্রেন থেকে নামতেই শিয়ালদহ ইষ্টিশানের মতই একটা ভিক্ষুক বয়সে বৃদ্ধ এসে দাড়ালো আমাদের সামনে। তার মুখে অনেক কাকুতি মিনতি।মায়া হলো লোকটার জন্য।পকেট থেকে একটা দশ টাকার নোট বের করে দিলাম তার হাতে।সে বিস্মিত হলনা বরং নোটটা একটু  উল্টেপাল্টে দেখে বললো স্যার এটা একটু বদলে দেন।এটাতে টেপ মারা।আমি কোন কথা না বাড়িয়ে নোটটা বদলে দিয়ে অজিতের দিকে হাটতে লাগলাম। অজিত তখন প্ল্যাটফর্মের কিনারায় গিয়ে অপেক্ষা করছে।তার মুখে চওড়া হাসি।সে ভিক্ষুকের নোট বদলের দৃশ্যটা দেখেই হাসছে।


জাজাফী

২৭ ফ্রেব্রুয়ারি ২০১৭

 

249 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Most Popular