পায়ে হেটে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে ঠিক কত সময় লাগবে এটা ক্যালকুলেশান করে বের করার চেষ্টা করছিলাম। ড্রয়িংরুমের মেঝেতে বসে খাতা কলমে হিসাব কষছিলাম। এমন সময় আমার পিচ্চি বোন স্কুল থেকে ফিরে এলো।কাধের স্কুল ব্যাগটা সোফার উপর রেখে বললো ভাইয়া তুমি কি হিসাব করো একা একা?
আমি বললাম হিসেব করে দেখছি পায়ে হেটে একটা মানুষ পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে ঠিক কত সময় লাগবে। আমার কথা শুনে ও কি যেন ভাবলো তার পর বললো ও তুমি এটা নিয়ে সারা খাতা হিসেব কষে ভরে ফেলেছ? এতো সোজা বিষয় নিয়ে এতো হিসেব করা লাগে? দাড়াও তোমাকে আমি প্র্যাকটিক্যালি দেখাই। এটা বলেই ব্যাগটা নিয়ে নিজের রুমে চলে গেল। আমি অবাক হয়ে ভাবলাম এই পিচ্চিটা প্র্যাকটিক্যালি কিভাবে দেখাবে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পায়ে হেটে যেতে কত সময় লাগবে?
কিছুক্ষণের মধ্যেই ও ফিরে এলো।হাতে করে নিয়ে এলো একটা পৃথিবীর মানচিত্র এবং একটা স্টপওয়াচ। মানচিত্রটা ড্রয়িংরুমের মেঝেতে বিছিয়ে আমার হাতে স্টপওয়াচ দিয়ে বললো তুমি ওটা অন করো আমি পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পায়ে হেটে যাচ্ছি। তাহলেই তুমি দেখতে পাবে ঠিক কত সময় লাগবে।
অতঃপর আমার পিচ্চি বোনটা মাত্র দুই সেকেন্ডে পায়ে হেটে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে গেল। জুল ভার্ন যেটাকে ৮০ দিনে নিয়ে ঠেকিয়েছিলেন আর বিশ্ব হতবাক হয়ে গিয়েছিল যে এটা কোন ভাবেই সম্ভব নয় সেটা আমার পিচ্চি বোন মাত্র দুই সেকেন্ডে নামিয়ে নিয়েছে। জিনিয়াস একটা।
৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭